ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ : শায়খ আহমাদুল্লাহ

ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ : শায়খ আহমাদুল্লাহ

ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ বলে মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের দরকার যোগ্য লিডারশিপ। তাহলে তারা বাংলাদেশকে স্বর্ণের টুকরায় পরিণত করতে পারবে। এ দেশে মানুষের মাঝে ভালো কাজের জন্য অদম্য স্পৃহা আছে। বন্যায় যেমন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। এভাবেই অন্য সবক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি।

ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ বলে মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের দরকার যোগ্য লিডারশিপ। তাহলে তারা বাংলাদেশকে স্বর্ণের টুকরায় পরিণত করতে পারবে। এ দেশে মানুষের মাঝে ভালো কাজের জন্য অদম্য স্পৃহা আছে। বন্যায় যেমন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। এভাবেই অন্য সবক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুশাখালী ইউনিয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, একজন মুসলমান কখনো স্বার্থপর হতে পারে না। আমরা স্বার্থপর হবো না। ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সবাই বন্যার্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও দুর্দশা লাঘবে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনার বাসায় একটা ত্রাণ এসেছে, আবার আসলে আপনি নেবেন না। যে বাসায় পায়নি, তাদের দেখিয়ে দেন। ত্রাণ বিতরণে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়া নিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১৫-১৮টি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। শুধু এ অঞ্চল নয় খুলনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি। যেখানে আমরা পৌঁছতে পারছি না, সেখানে সেনাবাহিনীর কাছে আমরা মালামাল দিয়ে দিয়েছি। আমি অনুরোধ করবো, সবাই এসব অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করেন। 

স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ত্রাণ নিয়ে আসছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করুন। অনেক জায়গায় ত্রাণ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি এ কাজ করেন, তাহলে আপনাদের বদনাম হবে। মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়ানো থেকে সরে যাবে। ত্রাণ নিয়ে আসার সময় আমাদেরও কয়েক জায়গায় আটকানো হয়েছে, মালামাল রেখে দেবে বলে। পরে আমাকে দেখে বলে, মালামাল না দিলেও হবে,  মুসাহাবা (করমর্দন) করলেই হবে। স্থানীয় মানুষদের বলবো, যারা বাহির থেকে ত্রাণ দিতে আসে, তাদেরকে শ্রদ্ধা করেন। পারলে একবেলা খাওয়াবেন। তাদেরকে রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। সব নিজের এলাকার দিকে টেনে নেবেন না। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পাঠিয়ে দেবেন। 

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর চৌরাস্তা থেকে লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি যেন গর্তে না পড়ে, তাই তারা দেখিয়ে দিচ্ছে, গাড়ি কোন দিক দিয়ে যাবে। পুরো রাস্তাজুড়ে ছিল এমন দৃশ্য। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে আর কখনো দেখা যায়নি। 

এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সদরের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষসহ আশপাশের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *