আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদের সাবেক উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ছয়বার এমপি (সংসদ সদস্য) নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ের হ্যাট্রিক করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদের সাবেক উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ছয়বার এমপি (সংসদ সদস্য) নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ের হ্যাট্রিক করেছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো শেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো একই আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী জাহেদ আলী চৌধুরীকে হারিয়ে তিনি পুনরায় তৃতীয়বারের মতো এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী।
জানা গেছে, বেগম মতিয়া চৌধুরী বিগত সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ কারণে তিনি শেষবারও বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরেণ্য এ রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
এমএসআই/এমজে