ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিজজুড়ে একের পর এক আসছে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। সম্প্রতি টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীও যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। আবার ওপার বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও মালয়ালাম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু কালো অধ্যায় সামনে এসেছে। যেমন, দক্ষিণী অভিনেত্রী মিনু মুনীর চার সহ-অভিনেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন।
ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিজজুড়ে একের পর এক আসছে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। সম্প্রতি টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীও যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। আবার ওপার বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও মালয়ালাম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু কালো অধ্যায় সামনে এসেছে। যেমন, দক্ষিণী অভিনেত্রী মিনু মুনীর চার সহ-অভিনেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন।
এবার চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তা নিয়ে মুখ খুললেন স্বরা ভাস্কর। হেমা কমিটির ওই রিপোর্ট দেখেই চাউর হয় স্বরার অভিযোগ। বলিউড-সহ ভারতের পুরো বিনোদন জগতে কীভাবে পুরুষতন্ত্রের আধিপত্য রয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।
তবে হেমা কমিটির ওই রিপোর্ট দেখে ভেঙে পড়েছেন বলেও জানান স্বরা। অভিনেত্রী তার এক পোস্টে লিখেছেন, ‘কমিশনের রিপোর্ট থেকে যা উঠে এসেছে, তা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। খারাপ লাগছে, কারণ এই রিপোর্টের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেয়েছি।’
স্বরা তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘বিনোদন জগত শুধু পুরুষতান্ত্রিকই নয়, বরং একনায়কতন্ত্র চলে এই জগতে। সফল অভিনেতারা মুহূর্তে ভগবানের তকমা পেয়ে যান এবং তারা যা করেন সবই যেন ঠিক। তারা যদি অসন্তোষ তৈরি করার মতো কিছু করেন, অন্যরা সেটা এড়িয়ে যান। এই সব পরিস্থিতির কেউ প্রতিবাদ করলে, তাকেই সমস্যার সূত্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।’
ছবি তৈরির সময়ে কেউ যদি কোনও বিষয় সুপরামর্শ দিতে চান, অধিকাংশ সময়ই তা শোনা হয় না। গুরুত্বই দেওয়া হয় না বলেও দাবি করেন স্বরা। তার কথায়, ‘বিনোদন জগৎ সব সময়ে পুরুষের কথা মতোই চলে এসেছে। পুরুষের ক্ষমতায় চলে। নীতিগত ভাবে কেউ সঠিক কথা বললেও, কেউ কোনও গুরুত্ব দেয় না। পুরুষতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আসলে সুবিধাজনক।’
ডিএ