আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাতকে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব পদ থেকে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামের প্রশাসক হিসেবে বদলির আদেশ হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাতকে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব পদ থেকে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামের প্রশাসক হিসেবে বদলির আদেশ হয়েছে।
রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অত্যন্ত পরিচিত মুখ। চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও দীর্ঘদিন কর্মরত হওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে খানিকটা প্রভাবশালী কর্মকর্তাও ছিলেন। আচরণে মার্জিত হলেও ক্রীড়াঙ্গনে তার অতিরিক্ত বিদেশ সফর নিয়ে খানিকটা সমালোচনাও আছে। কখনো মন্ত্রণালয় বা এনএসসি আবার কখনো আরচ্যারি ফেডারেশনের কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশ সফর করেছেন প্রায়ই। ঘনঘন বিদেশ সফরের বিষয়টি অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু ছিল।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান সব সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আসেন না। তাই বিভিন্ন ফেডারেশনের ফাইল পত্র এনএসসি থেকে সেরনিয়াবাতই মন্ত্রণালয়ে নিতেন। এমন একজন ব্যক্তি সকল ফেডারেশনের কাছেই সমান থাকা বাঞ্চনীয় ছিল। অথচ তিনি গত কয়েক বছর একটি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ নিয়েও ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনা আছে। পাশাপাশি এনএসসির আভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় চেয়ারম্যানের অনুমোদন-প্রত্যাখ্যানের বিষয়েও অনেক সময় তার প্রভাব ছিল বলে গুঞ্জন আছে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পাশাপাশি পদাধিকার বলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত কাজ করছিলেন প্রায় তিন দশক। সাদেক হোসেন খোকা থেকে শুরু করে ওবায়দুল কাদের, ফজলুর রহমান পটল, আহাদ আলী সরকার, বিরেন শিকদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নাজমুল হাসান পাপনের মন্ত্রীত্বের সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার উপদেষ্টার সময় তিনি বদলি হলেন। দুই-তিন বছরের মধ্যেই তার চাকুরি জীবন শেষে অবসরে যাওয়ার কথা।
এজেড/এইচজেএস