জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবায় ভোগান্তি ও দুর্নীতি আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবায় ভোগান্তি ও দুর্নীতি আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
এনআইডি সেবা প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, আমি যেটা বিশ্বাস করি সমস্যাটাকে সামনে নিয়ে আসা। এ সেবায় ভোগান্তি আছে, দুর্নীতি আছে, দুর্নীতিবাজ আছে, এটা স্বীকার করতে হবে। আবার সৎ মানুষ আছে, এটাও স্বীকার করতে হবে। সেবা দিচ্ছে সেটাও স্বীকার করতে হবে। আমরা প্রতিটা ওয়ার্কিং ডেতে কাজ করছি, এটাও স্বীকার করতে হবে। আমরা লাস্ট মিটিংয়ে সপ্তাহে প্রতিদিন ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি। সুতরাং গুণগত পার্থক্য সম্পর্কে যেন আমরা বলতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে উপজাত হচ্ছে এনআইডি। আজ পর্যন্ত ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫৬০ জন ভোটার হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে আমরা ভোটার করছি। মৃত মানুষ তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার দিক থেকে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। ৫ বছর, ১০ বছর কি করে পার্থক্য হয়। এজন্য যখন আপনি ফরম পূরণ করবেন আপনার হাতে লেখা ফরম আপ করে দেব। এতে ইসমাইল হোসেনের জায়গায় ইসরাইল হোসেন হলে ভুলটা কার ছিল-আমরা ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের নাকি আপনি নিজে লিখে দিয়েছেন। আমার লোক ভুল করলে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তিনি যদি নিজে ভুল করে থাকেন, তাহলে সে অনুযায়ী আমরা সমাধান করে দেব। কাজেই ফরম পূরণের সময় ১৯৭৮ লিখেছেন নাকি ১৯৮৭ লিখেছেন এগুলো আমরা সিস্টেম ডেভেলপ করব। তাহলে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা বাড়বে।
সচিব আরও বলেন, সেবা গ্রহীতাকেও রেসপনসিবল করার জন্য বলছি। একবার জন্ম তারিখ একটা বললেন, আবার বললেন ১০ বছর কমাতে হবে। এখানে একটা দিক হলো অফিসকে বাড়তি কষ্ট দিচ্ছেন, আরেক হলো একটা কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। তৃতীয় হলো দুর্নীতির একটা সিস্টেম তৈরি করে দিচ্ছেন। যখন ১০ বছর কমানো জন্য বলবেন, দুর্নীতির একটা বিরাট জায়গা তৈরি হচ্ছে। এজন্য আমার সিস্টেমটা ডেভেলপ করছি। আমলাতন্ত্র বক্তৃতা নয়, সিস্টেমে কাজ করে। বয়স নিয়ে বিভিন্ন রকম করতে চায়, দুইটা আইডি করতে চায়। যদি আমাদের সিস্টেমে ধরা পড়ে, প্রযুক্তিগতভাবে এটাকে নিয়ে আসা, দোষ করলে শাস্তি দেওয়া, শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমরা কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না।
এসআর/এসএসএইচ