‘ব্যানারের কারণে রাস্তায় চলাচল করতে সমস্যার কোনো শেষ নাই, কয়েকদিন ভ্যাবাচ্যাকা খাইছি। কারণ রাস্তার এদিকের গাড়ি ওদিকে চিনায় না, ওদিকের গাড়ি এদিকে চিনায় না। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ এভাবেই সড়কে থাকা অবৈধ ব্যানার নিয়ে ভোগান্তির কথা বলছিলেন রিমন পরিবহনের সুপারভাইজার মো. সাইফুল।
‘ব্যানারের কারণে রাস্তায় চলাচল করতে সমস্যার কোনো শেষ নাই, কয়েকদিন ভ্যাবাচ্যাকা খাইছি। কারণ রাস্তার এদিকের গাড়ি ওদিকে চিনায় না, ওদিকের গাড়ি এদিকে চিনায় না। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ এভাবেই সড়কে থাকা অবৈধ ব্যানার নিয়ে ভোগান্তির কথা বলছিলেন রিমন পরিবহনের সুপারভাইজার মো. সাইফুল।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পটুয়াখালী শহর ঘুরে দেখা যায়, চৌরাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছেয়ে গেছে অবৈধভাবে টানানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। এটি শহরের সৌন্দর্যকে নষ্ট করার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন শহরবাসী। এছাড়া যানবাহনের চালকরা অভিযোগ করছেন, এসব পোস্টার-ব্যানার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের চৌরাস্তা মোড়টি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে গোলচত্বরটি প্রায় পুরোপুরি ঢাকা পড়ায় চালকরা সঠিকভাবে রাস্তা ও ট্র্যাফিক সিগন্যাল দেখতে পাচ্ছেন না। এর ফলে নিয়মিত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
রিমন পরিবহনের বাস চালক ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, সমস্যা হলো, চৌরাস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশ চিনা যায় না। পৌরসভার উচিত পোস্টারগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলা।
রিকশাচালক আবুল কালাম জানান, রাস্তার দুই পাশ ব্যানার আর পোস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলেছে। অনেক সময় রাস্তা পরিষ্কার দেখা যায় না। হঠাৎ সামনে কোনো গাড়ি আসলে বিপদের মুখে পড়তে হয়।
চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সামিরুজ্জামান বলেন, ব্যানার ফেস্টুনের কারণে দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচিত অতিদ্রুত এই পোস্টারগুলো অপসারণ করা। এতে শহরের সৌন্দর্য পুনরায় দৃশ্যমান হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক জুয়েল রানা বলেন, বিষয়টি আমার চোখেে এসেছে। বিশেষ করে আমাদের চৌরাস্তায় বিভিন্ন পোস্টার-ব্যানারের কারণে সত্যিকার অর্থেই ড্রাইভারদের অসুবিধা হচ্ছে। আর কোনো কালক্ষেপণ না করে খুবই দ্রুত পৌর বিধিমালা অনুযায়ী এসব অবৈধ ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করা হবে। এছাড়া পটুয়াখালী পৌরসভা এলাকার সৌন্দর্য বাড়াতেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মো. রায়হান/এফআরএস