বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ব্যানারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটি প্রত্যাখ্যান করেছে সমিতির নির্বাচিত কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এই এডহক কমিটি গঠনের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করেছে।
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ব্যানারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটি প্রত্যাখ্যান করেছে সমিতির নির্বাচিত কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এই এডহক কমিটি গঠনের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর কয়েকটি জাতীয় সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ব্যানারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত কার্যনির্বাহক কমিটির বিপরীতে নির্বাচনে পরাজিত প্যানেলের প্রার্থীদের সমন্বয়ে যে এডহক কমিটি গঠনের দাবি করা হয়েছে, তা যেকোনো সভ্য সমাজের আইন ও রীতিনীতির পরিপন্থি। বাংলাদেশের চার হাজার অর্থনীতিবিদের ঐতিহ্যবাহী একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করে অবৈধ এই এডহক কমিটি গঠনের দাবি প্রত্যাখ্যান করছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৯৭৪ সালে গৃহীত গঠনতন্ত্রবলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনিবাহী কমিটির স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত হয়ে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক অ্যাসোসিয়েশন (আইএ)-এর নিবন্ধিত এই সমিতি সরকারের সব আইন ও বিধি-বিধান এবং আইএর নিয়মকানুন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে অর্থনৈতিক, বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি শাস্ত্র ও সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষা অনুসন্ধান ও গবেষণা উন্নয়নে উৎসাহ ও সহায়তা প্রদানে সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক পেশাজীবীদের স্বার্থরক্ষা ও মানোন্নয়নে নিয়মিত সাময়িকী, জার্নাল ও গ্রন্থ প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী মানুষ অর্থাৎ কৃষক-শ্রমিক-প্রবীণ-নারী-শিশুসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অর্থনৈতিক বিষয়াদির ওপর সভা, সম্মেলন ও আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য-বৈষম্য, কালোটাকা-অর্থপাচার, ঘুষ-দুর্নীতি প্রভৃতি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরোও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৯৭৪ সালে গৃহীত গঠনতন্ত্রবলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইএ) নিবন্ধিত এই সমিতি সরকারের সব আইন, বিধিবিধান ও আইএর নিয়মকানুন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
‘বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’ সৃষ্টি করে কতিপয় ব্যক্তি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সম্পর্কে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে আসছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের অভিযোগ তুলে এডহক কমিটি গঠনের কথা বলছে।
যারা এই এডহক কমিটি গঠন করেছেন, তাদের একাংশ চলতি বছরের ১৮ মে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিল। তারা পরাজিত হওয়ার পর সহস্রাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে বিজয়ী প্যানেলকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এমনকি সেই সময় তারা ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তিও তোলেননি, বরং নির্বাচনের প্রশংসা করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ছয় দফা, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, জাতীয় সংবিধান ও বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ভূমিকা ও অবদান সর্বজনবিদিত।
গত সোমবার বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুর রহমানকে সভাপতি করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এডহক কমিটি গঠন করা হয়। তারা গত মে মাসে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
এসআই/এমএ