১. স্বীকার করুন
মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই ভালো সময় এবং খারাপ সময় আসতে পারে। এমন অনেক দিন আসে যখন আমাদের মেজাজ কোনো কারণে খিটখিটে হয়ে যায়। ভালো কথাও তখন ভালোলাগে না। কাছের মানুষের সঙ্গে আমরা তখন হয়তো খারাপ ব্যবহার করে ফেলি, কাউকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিয়ে কথা বলে ফেলি। এখানেই শেষ নয়, মেজাজ খারাপ থাকলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের দৈনন্দিন সমস্ত কাজেও।
খিটখিটে মেজাজ মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, এটি সম্পর্কও নষ্ট করতে পারে। একটি খারাপ আচরণকে কেন্দ্র করে অনেককিছু ঘটে যেতে পারে। সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, চাকরি চলে যেতে পারে, আপনজন ভুল বুঝতে পারে, হারাতে হতে পারে আরও অনেক কিছু। তাই সবার আগে আপনার নিজেকে বুঝতে হবে নিজেরই। মেজাজ খারাপ হতেই পারে, তবে তা সামলেও নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী করবেন-
১. স্বীকার করুন
মেজাজ খারাপ হলে তা এড়িয়ে যাবেন না। বরং যখন মেজাজ খারাপ হবে তখন এর কারণ খুঁজে বের করুন এবং মনে মনে স্বীকার করে নিন যে সত্যিই আপনার মেজাজ খারাপ। এতে পরবর্তী বিষয়গুলো সামলানো আপনার জন্য সহজ হবে।
২. কথা বলুন
আপনার চারপাশের ব্যক্তিদের জানাতে দিন যে আপনি একটি কঠিন সময় পার করছেন এবং এটি আপনার মিথস্ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে তা ভুল বোঝাবুঝি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে, তাদের বুঝতে দিন যে আপনি চেষ্টা করছেন এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার। এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতাও পেতে পারেন।
৩. বিরতি নিন
বাইরে থেকে কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন। গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন। এমন কোনো কাজ করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। অনেক সময় সবকিছু থেকে কিছুটা দূরে চাপমুক্ত থাকতে পারলে পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই এ ধরনের কাজগুলো করতে পারেন।
৪. সৃজনশীল কাজ
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। নিজের সেই গোপন গুণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। এরপর সেগুলোর চর্চা করুন। দিনের কিছুটা সময় সৃজনশীল কাজে ব্যয় করুন। হতে পারে তা লেখা কিংবা ছবি আঁকা, হতে পারে রান্না বা সেলাই। শখের বাগানে সময় দিতে পারেন। মোট কথা আপনার নিজেকে প্রকাশ করা যায় এমন কিছু করুন। এতে মেজাজ ভালো হবে দ্রুতই।
৫. বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন
আমাদের সব আবেগ যে আমরাই সব সময় বুঝতে পারবো এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময় নিজের অনুভূতি আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি না। এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এরকম সমস্যায় পড়লে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি তার অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারবেন।
এইচএন