চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আজাদ সরকারের মরদেহ দাফনের এক মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আজাদ সরকারের মরদেহ দাফনের এক মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার নানার বাড়ি হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ডের টোরাগড় উত্তর-পশ্চিম পাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আজাদ সরকার (৬৫) পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু মিয়া সরকারের ছেলে। তার মৃত্যুর পর পরই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে ঘটনার রাতেই নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আজাদ সরকার নিহতের ঘটনায় তার ছেলে আহমেদ কবির হিমেল টোরাগড় ৮নং ওয়ার্ড কাজী বাড়ির মৃত মেন্দু মিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনির হোসেন মিঠুকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. একরামুল ছিদ্দিক কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিকের নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেনের নেতৃত্বে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর ফের দাফন করা হবে।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজাদ সরকার আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন। ওই দিন আরও শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। তাদের অনেকে এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আনোয়ারুল হক/এএমকে