এক মাস খোঁজ নেই গোলরক্ষক মহসিনের

এক মাস খোঁজ নেই গোলরক্ষক মহসিনের

দেশের কিংবদন্তী গোলরক্ষক মোঃ মহসিন। প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ এই সাবেক তারকা ফুটবলার। মহসিনের পরিবার ও তার বন্ধু-বান্ধব কেউই খোজ পাচ্ছেন না। কয়েক মাস আগে এ রকম হারিয়ে গেলেও দুই দিন পরই আবার বাসায় নিজেই ফিরেছিলেন। এই যাত্রায় একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না এই সাবেক তারকা ফুটবলারকে। 

দেশের কিংবদন্তী গোলরক্ষক মোঃ মহসিন। প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ এই সাবেক তারকা ফুটবলার। মহসিনের পরিবার ও তার বন্ধু-বান্ধব কেউই খোজ পাচ্ছেন না। কয়েক মাস আগে এ রকম হারিয়ে গেলেও দুই দিন পরই আবার বাসায় নিজেই ফিরেছিলেন। এই যাত্রায় একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না এই সাবেক তারকা ফুটবলারকে। 

মহসিনের ছোট ভাই পিন্টু বড় ভাইয়ের আকস্মিক হারিয়ে যাওয়ার জন্য রমনা ও কমলাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো সন্ধান মিলেনি। তাই বেশ শঙ্কিত পিন্টু, ‘আমার ভাই কোথায় কিভাবে আছে জানি না। মোবাইল, টাকা পয়সা কিছুই সঙ্গে নেই তার। সবার কাছে অনুরোধ আমার ভাইকে একটু খুঁজুন এবং আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।’ 

বাংলাদেশের ফুটবলে সোনালী দিনের তারকা গোলরক্ষক মহসিন। খেলা ছাড়ার পর কানাডা প্রবাস জীবনে কাটিয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে ঢাকায় বসবাস করছেন কয়েক বছর। বয়স মাত্র ৬০ হলেও শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েন। মহসিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অসুস্থ মহসিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসায় এসে পড়েন। মহসিনের বন্ধু-বান্ধব সুস্থতার চেষ্টা করে ব্যর্থও এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেন। 

শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি কথাবার্তায় খানিকটা অসংলগ্নতাও রয়েছে মহসিনের। পুরনো স্মৃতি খুব বেশি মনে করতে পারেন না। বাসাতেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়। আগস্টের শেষ দিকে হঠাৎ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেই যে বেরিয়েছেন আর ফিরেননি। 

মহসিনের এক সময়ের সতীর্থ আরেক তারকা ফুটবলার আব্দুল গাফফার আবার মহসিনকে ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন, ‘আমরা সবাই মিলে মহসিনকে খুজলে আশা করি পাব। কেউ যদি মহসিনকে কোথাও দেখেন দেশের যে কোনো প্রান্তে অনুগ্রহ করে তার ছোট ভাই পিন্টু (০১৯৪১৪৯৭৬১৩) অথবা আমার (০১৭৪১৭৬৪৪০০) সঙ্গে যোগাযোগের বিশেষ অনুরোধ থাকল।’

মহসিন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। ১৯৮২ এশিয়ান গেমস থেকে মহসিনের ঊথান। এরপর প্রায় এক যুগ বাংলাদেশ দলের এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন। স্বাধীনতা  পরবর্তী সময়ে সেরা গোলরক্ষকের আলোচনায় সান্টু,মহসিন ও আমিনুল থাকেন সমান্তরালেই। 

জাতীয় দলের পাশাপাশি দেশের দুই জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানে খেলেছেন দীর্ঘদিন। দুই বড় ক্লাবের সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রেরও অধিনায়কত্ব করেছেন। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ থাকলেও বড় তিন ক্লাবে অধিনায়কত্বের গৌরবের বিষয়টি এখনো স্মরণ মহসিনের। গোলের খেলা ফুটবলে গোলরক্ষক হয়েও মহসিন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলারদের একজন। 

এজেড/জেএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *