এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে আনসার সদস্যদের বিক্ষোভ

এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে আনসার সদস্যদের বিক্ষোভ

চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট গেটের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে সাধারণ আনসার সদস্যরা।

চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট গেটের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে সাধারণ আনসার সদস্যরা।

রোববার (১১ আগস্ট) বেলা সোয়া ১টার দিকে ইউনিফর্ম পরা বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় মৎস্য ভবন থেকে প্রেসক্লাব ও হাইকোর্ট  থেকে মৎস্য ভবনমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে রাস্তার উভয়দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করেন প্রায় তিনশ আনসার সদস্য। সেখানেও তারা এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

তারা বলছেন, আমরা আর চুক্তি নয়, এবার মুক্তি চাই। তিন বছর পরপর আমাদের চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া হয়। তখন প্রায় ৬-৭ মাস আমাদের অলস বসে থাকতে হয়, উপার্জনেরও কোনো উপায় থাকে না, ফলে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করি। তাই চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি।

আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা জানান, সাধারণত আনসার দুইভাগে বিভক্ত। আনসার ব্যাটালিয়ন ও সাধারণ আনসার। সাধারণ আনসার সদস্যদের ট্রেনিং করানোর পর বসিয়ে রাখা হয়। যখন আনসার বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়, তখন ওই সদস্যদের সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তাদের দাবি, হয় তাদের চাকরি স্থায়ী করুক না হয় আনসার বাহিনী থেকে বাদ দিয়ে দিক।

এসময় তারা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, জেগেছে রে জেগেছে, আনসার বাহিনী জেগেছে’, ‘একদফা এক দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

জাহাঙ্গীর সারওয়ার নামে একজন আনসার সদস্য জানান, চাকরি অস্থায়ী থাকার কারণে ৩ বছর পর পর আমাদের ৬-৭ মাস করে অলসভাবে বসে থাকতে হয়। সেসময় আমাদের এক টাকাও উপার্জন থাকে না। তাই আমরা একদফা দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করি। অস্থায়ী চাকরির কারণে সবসময় আমাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতা কাজ করে। এমন উদ্বিগ্নতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজ করা সম্ভব না।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি স্থায়ীর ঘোষণা না এলে কর্মবিরোতির ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ আনসাররা।

এআর/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *