এএসপি দুলাভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

এএসপি দুলাভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখল এবং ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি মাসের ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রেজা নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিয়েও পাননি প্রতিকার। কারণ অভিযুক্ত সোহেল রেজার ভগ্নিপতি পুলিশের এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া। তিনি বারবার প্রভাব খাটিয়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখল এবং ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি মাসের ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রেজা নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিয়েও পাননি প্রতিকার। কারণ অভিযুক্ত সোহেল রেজার ভগ্নিপতি পুলিশের এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া। তিনি বারবার প্রভাব খাটিয়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সম্পত্তির মালিক শেখ নুরুর রহমান ওরফে এছামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিল আহমেদ সানি। 

ভিডিও কনফারেন্সে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শেখ নুরুর রহমান বলেন, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হজক্যাম্প রোড এলাকায় আমার এবং আমার বোনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তির বোনের অংশ সোহেল রেজা নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে আমার বোনের জমির পাশাপাশি আমার জমিও জোরপূর্বকভাবে দখল ও ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রতি মাসের ভাড়া আদায় করে নিয়ে যায় সোহেল রেজা। এমন ঘটনা বাধা দিলে আমার পরিবারের সদস্যদেরও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 

আইনজীবী তানজিল আহমেদ সানি বলেন, শেখ নুরুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বাংলাদেশে তার বাড়ি দেখাশোনা করে ছোট ভাই এহছানুর রহমান সবুজ। প্রতারক সোহেল রেজা নানা সময় নানাভাবে সবুজকে হুমকি দেয়। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর সোহেল রেজা তার লোকজন নিয়ে বাড়ির নিচ তলায় থাকা জমজম হোটেলের মালিককে মারধর করেন এবং তাদের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বের করে দেয়। 

এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে সোহেল সবুজকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। 

তিনি বলেন, জিডি করায় সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে সবুজকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এবং একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। যা সম্পূর্ণ সবুজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিল। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১৯ মে জিডি করা হয়। 

সোহেলের বিরুদ্ধে ২০২২ সাল থেকে বহুবার আইনের আশ্রয় নিয়েও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি৷ তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সোহেল রেজার বোনের জামাই পুলিশের এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া। যখনই আইনের সাহায্যের জন্য যাওয়া হয়, তখনই কালো ছায়ার মতো এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া প্রভাব খাটায়। পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে আমাকে কোনোভাবে আইনের সাহায্য নিতে দেয়নি বরং বারবার সোহেল রেজাকে কোনো না কোনোভাবে বাঁচিয়ে নেন। আইনের আশ্রয় নিয়েও প্রতিকার পাচ্ছি না। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে বাড়িতে থাকা ও ভাড়াটিয়াদের থেকে ভাড়া আদায় করে তারা।  

আইনজীবী আরও বলেন, এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়ার কারণে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও আইনি সহায়তা দেয়নি থানা পুলিশ। 

পরবর্তী সময়ে কোনো সুরাহা করতে না পেরে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সোহেল ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং বর্তমানে পলাতক। এছাড়া, সোহেল ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর হিসাবে কাজ করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র আন্দোলনে অনেক ছাত্র আহত এবং নিহত এর দায়ে হত্যা মামলারও আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সোহেল রেজার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেইউ/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *