এই ৬ সুপারফুড নিয়মিত খাচ্ছেন তো?

এই ৬ সুপারফুড নিয়মিত খাচ্ছেন তো?

১. হলুদ

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পায়। অসুস্থ হলে তা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকেই দুর্বল করে না বরং সেই যাত্রা বেশ অস্বস্তিকর এবং ক্লান্তিকরও হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মৌসুমী সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কিছু কাজ করা যেতে পারে। হার্ভার্ড হেলথের মতে, প্রতিরক্ষার প্রথম লাইন হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম করা, ভালো ঘুমানো, মানসিক চাপ কমানো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। একটি সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম রিলে কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডাঃ শ্রীরাম নেনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ছয়টি সুপারফুডের কথা শেয়ার করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হলুদ

সুস্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য হলুদ দুধ বা গোল্ডেন মিল্কের কথা সবাই জানেন। কারকিউমিন হলো হলুদের সক্রিয় যৌগ যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের বেশিরভাগ রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ঘুমের আগে হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আরও ভালো ঘুম হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

২. লাল বেল পেপার

লাল বেল পেপার ভিটামিন এ এবং সি-এর একটি ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন গুরুত্বপূর্ণ কোষ তৈরির জন্যও ভিটামিন এ প্রয়োজন। বেল মরিচ ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেট সমৃদ্ধ যা হোমোসিস্টাইনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৩. আদা

চায়ের কাপে আদা যোগ করা হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি বহু পুরনো পারিবারিক অভ্যাস। ডিকে-এর হিলিং ফুডস’বই অনুসারে, আদার মধ্যে পাওয়া উদ্বায়ী তেলে এনএসএআইডি (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস) এর মতো প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এটিকে ফ্লু, মাথাব্যথা এবং মাসিকের সময় ব্যথার জন্য একটি চমৎকার প্রতিকার করে তোলে। এটি অস্টিওআর্থারাইটিসে ওষুধের বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে পারে।

৩. সাইট্রাস ফল

কমলা এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে পরিচিত। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. দই

শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য সুস্থ অন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সাহায্য করে। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করুন। দুপুরের খাবারের সঙ্গে দই খেতে পারেন বা সন্ধ্যায় স্মুদিতে যোগ করতে পারেন।

৬. পালং শাক

পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন। এর সমস্ত শক্তিশালী পুষ্টি আপনার ইমিউন সিস্টেমের সংক্রমণ-লড়াই ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সালাদে যোগ করতে পারেন, তরকারি তৈরি করতে বা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। পালং শাক বেশিক্ষণ রান্না করা এড়িয়ে চলুন। তাতে এর বেশিরভাগ পুষ্টি বজায় থাকবে।

এইচএন

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *