আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণায় পুরস্কার পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী। পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হোপফিল্ড ও যুক্তরাজ্যের জিওফ্রে হিন্টন। অথচ সেই এআই নিয়েই সকলকে সতর্ক করছেন হোপফিল্ড।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণায় পুরস্কার পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী। পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হোপফিল্ড ও যুক্তরাজ্যের জিওফ্রে হিন্টন। অথচ সেই এআই নিয়েই সকলকে সতর্ক করছেন হোপফিল্ড।
তার দাবি, এআই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত আপত্তিকর। যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে মানব জাতিকে। কেনানা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার! এমন আশঙ্কা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে।
বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বটের আবির্ভাবের পর থেকে সে সম্ভাবনা আরো পরিষ্কার হয়েছে। এর আগে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ছিলেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী। এবার একই সুর কথা বলেছেন সদ্য নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানী। নিউ জার্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি এই আশঙ্কার কথা বলেন।
হোপফিল্ড বলেন, বুঝতে হবে প্রযুক্তি শুধুই ভালো বা খারাপ এই ধরনের অভিমুখে এগিয়ে যায় না। আমি একজন পদার্থবিদ। যা নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে আমি অত্যন্ত বিরক্ত হই। যেটা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি না সেই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা গুলো কী কী। এআই ঠিক এই প্রশ্নগুলোই তুলে ধরছে।
উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করেন আইস-নাইনের কথা। ১৯৬৩ সালে লেখা কার্ট ভনেগাটের ক্যাটস ক্রেডল উপন্যাসটির বিষয়বস্তু ছিল এমন এক পদার্থ, যা কাদা থকথকে পরিস্থিতিতে সৈন্যদের সাহায্য করবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটার প্রভাবেই গোটা পৃথিবীর সব সমুদ্র জমে কঠিন পদার্থ হয়ে গেল। যার জেরে ধ্বংস হয়ে যায় সভ্যতা।
আর এই উদাহরণ দিয়ে হোপফিল্ড বলেন, আমি শ্রেষ্ঠ তরুণ গবেষক ও আরো অনেককে বলতে চাই তারা যেন এআইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন। সরকারেরও উচিত বড় সংস্থাগুলোকে এই ধরনের গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া।