ইসকন নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

ইসকন নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার উপর হিন্দুত্ববাদের গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার উপর হিন্দুত্ববাদের গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। 

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন মো. ফিরোজ খান (৪৯) নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি নগরীর চান্দগাঁও এলাকার উত্তর মোহরায়।

মামলায় এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)। এদের মধ্যে রাজেশ ও হৃদয়কে গত রাতেই সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘নিউ মার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভে জাতীয় পতাকার উপর ইসকনের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মামলায় বাদীর অভিযোগ, ২৫ অক্টোবর নগরের লালদিঘী মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেদিন ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে।

বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হওয়ার পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যা অদ্যবধি সেখানে রয়েছে। ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।

বাদীর অভিযোগ, আসামিরা নিউমার্কেট মোড় জিরোপয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শনের হীন উদ্দেশ্যে, দেশের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পূর্বক অবমাননা করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।

এজাহারে বাদী আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকারের শামিল। আসামিরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর তাদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ করেছেন।

আরএমএন/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *