রাওয়ালপিন্ডিতে আজকের সকালটা বাংলাদেশের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো! পাকিস্তানি পেসারদের দুর্দান্ত সুইং আর গতিতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। তাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে টাইগার টপ অর্ডার।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজকের সকালটা বাংলাদেশের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো! পাকিস্তানি পেসারদের দুর্দান্ত সুইং আর গতিতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। তাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে টাইগার টপ অর্ডার।
গতকালের (শনিবার) বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আর ৪ রান যোগ করতেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। সুবিধা করতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও। তাতে আজকের দিনে ১৬ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট।
এমন ধ্বংসস্তূপে ব্যাট করতে এসে প্রতিরোধ গড়েন লিটন ও মিরাজ। দুজনে মিলে দারুণ সব শট খেলেছেন। রান তুলেছেন দুজনে পাল্লা দিয়ে। সাবলীল ব্যাটিংয়ে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিটন-মিরাজ। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটা।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই জুটি নিয়ে লিটন বলেন, ‘মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে অবশ্যই। আমার তো হাতে লাগার পর খুব একটা শট খেলতে পারছিলাম না। মিরাজ তাদের অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে শট খেলে। আমার মনে হয় মিরাজের কয়েকটা বাউন্ডারি শুরুর দিকে খেলার একটা ছন্দ তৈরি করে দিয়েছে।’
‘(শুরুতে) আমি কখনওই লম্বা চিন্তাভাবনা করিনি। আমি যখন সাকিব (আল হাসান) ভাইয়ের সাথে শুরু করলাম তিনি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেন, আমি আর মিরাজ দুজনই নতুন ব্যাটার। একটাই আলোচনা চলছিল যে, খেলাটা কতখানি টানা যায়। কারণ তারা খুবই ভালো বল করছিল। নতুন বল সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। তারা একটা ভালো মোমেন্টামে ছিল। আমাদের চিন্তা ছিল আমরা কীভাবে মোমেন্টামটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’-যোগ করেন তিনি।
এইচজেএস