আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক এবং কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।

আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক এবং কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।

জানা গেছে, আলুতে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া আগে এ পণ্যটির ওপর প্রযোজ্য থাকা ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটিতে মোট শুল্ক কমানো হলো ১৩ শতাংশ। 

আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে কীটনাশকের ওপরে প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটির ওপর সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এর আগে পেঁয়াজ, আলু, ডিমে শুল্ক কর প্রত্যাহার চেয়ে এনবিআরে চিঠি দেয় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে। 

এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এসব পণ্যের শুল্ক কমানো কারণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, ফলে কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।

এর আগে ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল ট্যারিফ কমিশন।

আরএম/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *