সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ অ্যাকশনে গেলেও আন্দোলনকারীরা চলে যাননি, তারা এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বসে পড়েছেন এবং তাদের দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ অ্যাকশনে গেলেও আন্দোলনকারীরা চলে যাননি, তারা এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বসে পড়েছেন এবং তাদের দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
আন্দোলনকারীরা ‘বয়স না মেধা, মেধা মেধা; ৩০ না ৩৫, ৩৫, ৩৫; আর নয় কালক্ষেপণ, আজই প্রজ্ঞাপন’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।’
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের রাস্তায় অবস্থান করছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশীরা রাস্তায় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। তাদের কেউ কেউ দাঁড়িয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া আবার অনেক চাকরিপ্রত্যাশী রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন।
আরও দেখা যায়, চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ সময় চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের সরকার। তাই আমরা আশা করব এই সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিবে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছি৷ আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না।
এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি তাদের। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
এমএসি/এমএ