বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে স্বাক্ষরিত এই সহায়তা তহবিল সুশাসন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশি জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যয় হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে স্বাক্ষরিত এই সহায়তা তহবিল সুশাসন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশি জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যয় হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।
তবে এই প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর বৈঠক প্রসঙ্গটিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। তবে এই ইস্যুতেও তাৎক্ষণিক কোনও বক্তব্য না দিয়ে প্রশ্ন গ্রহণ করার কথা জানান ম্যাথিউ মিলার।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশে তার বৈঠক নিয়ে আপনার কাছে কোনও রিডআউট আছে? এবং আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে কীভাবে কাজ করা হবে এবং বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যায়ন করে? এবং দেশটিতে মার্কিন সাহায্য সহায়তার ঘোষণা রয়েছে। এর লক্ষ্য কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, হ্যাঁ। অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসন ও উন্নয়নের প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি আকারের একটি উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছি, যা সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশি জনগণের উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
পরে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রসঙ্গ নিয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আল-কায়েদা-অনুপ্রাণিত জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ইসলামপন্থি জিহাদি মুফতি জসিমুদ্দিন রাহমানি, হরকাত-উল-জিহাদ এবং হিজবুত-তাহরীরের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি ইন্টারপোল-ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী সুইডেনের আসলামের মতো আরও অনেকে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটি কি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এই প্রশ্নটি এখন গ্রহণ করছি এবং পরে আপনাকে এ বিষয়ে উত্তর দেব।
এরপর এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর বৈঠক ইস্যুতে জানতে চান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভারতীয় নৌবাহিনীর উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ সংকট এবং সম্ভাব্য চীনা কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি কী? যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আঞ্চলিক অংশীদার দেশগুলোর সাথে — বিশেষ করে ভারতের সাথে — বিষয়টি সমন্বয় করছে?
তবে এই ইস্যুতেও তাৎক্ষণিক কোনও বক্তব্য না দিয়ে প্রশ্নটি গ্রহণ করার কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
টিএম