বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও দাম স্থিতিশীল রাখতে গত মঙ্গলবার সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। আমদানির এ খবরে রাজধানীর বাজারগুলোতে পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ২০-৩০ টাকা।
বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও দাম স্থিতিশীল রাখতে গত মঙ্গলবার সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। আমদানির এ খবরে রাজধানীর বাজারগুলোতে পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ২০-৩০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মগবাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে তা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
আর পাইকারিতে ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা ৪০ পয়সা। যদিও চার পাঁচ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে এক ডজন ডিম কিনতে ১৮০–১৯০ টাকা লাগত। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়।
নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু উচ্চ দামের কারণে ডিম–মুরগি কিনতেও মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশও এসেছে। সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে বাজার তদারকি।
তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের এসব পদক্ষেপে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও তা হবে সাময়িক।
ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হলে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো ও সিন্ডিকেটকারীদের (অসাধু জোট) বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এমএ