আবু বকর রা.-কে নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

আবু বকর রা.-কে নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

রাসূল সা. তার পুরো জীবন ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং মানুষের মাঝে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করেছেন। তার কোনো বন্ধু ছিল না, তবে কোনো গ্রহণ করলে তিনি আবু বকর রা.-কে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

রাসূল সা. তার পুরো জীবন ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং মানুষের মাঝে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করেছেন। তার কোনো বন্ধু ছিল না, তবে কোনো গ্রহণ করলে তিনি আবু বকর রা.-কে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহর রাসূল সা. সব সাহাবিকেই পছন্দ করতেন, স্নেহ ও ভালোবাসতেন। তবে তিনি সব থেকে বেশি পছন্দ করতেন আবু বকর রা.-কে। আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, ওমর রা. বলেন, আবু বকর রা. আমাদের সর্দার এবং সবার মাঝে সর্বোত্তম। তিনি রাসূল সা.-এর কাছে আমাদের সবার থেকে প্রিয় ছিলেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৫৬)

আরেক হাদিসে আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞেস করলাম, সাহাবিদের মাঝে রাসূল সা. সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন কে?

তিনি বললেন, আবু বকর রা.।আমি বললাম, তারপর কে?তিনি বললেন, আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ।আমি বললাম, তারপর কে?তিনি চুপ করে রইলেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৫৭)

আবু বকর রা. সম্পর্কে আরেক হাদিসে আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা যেভাবে আকাশের সীমানায় উদিত তারকা দেখো, তেমনিভাবে অল্প মর্যাদার জান্নাতীরা উচ্চ মর্যাদার জান্নাতীদের দেখবে। আবু বকর, ওমরও উচ্চ মর্যাদার জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত বরং তারা আরও বেশি মর্যাদা পাবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৫৮)

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, আবু বকর ছাড়া আমার ওপর কারো এমন কোনো অনুগ্রহ নেই যা আমি পরিশোধ করিনি। আমার ওপর আবু বকরের যেই অনুগ্রহ তা কিয়ামতের দিন আল্লাহ নিজেই দেবেন। কারো সম্পদ আমার এতটুকু উপকার করেনি যতটুকু আবু বকরের সম্পদের মাধ্যমে হয়েছে। আমি যদি কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতাম তবে অবশ্যই আবু বকরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতাম। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৬১)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *