বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, দুর্গাপূজা আমাদের সার্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, সকলেই হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ রেখে চলতে চাই। আপনারা পূজা উদযাপন করবেন, আমরা উপভোগ করব। আমরা সবাই একসাথে থাকতে চাই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, দুর্গাপূজা আমাদের সার্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, সকলেই হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ রেখে চলতে চাই। আপনারা পূজা উদযাপন করবেন, আমরা উপভোগ করব। আমরা সবাই একসাথে থাকতে চাই।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর পৌরসভার সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি হরি নারায়ন চৌহান, সাধারণ সম্পাদক শ্রী কৃষ্ণ বাসফোর, তপন বণিক, শ্রীপুর পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, সাইফুল হক মোল্লা, বিল্লাল হোসেন, মিজান মন্ডল, দুলাল চৌহানসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দুর্গাপূজা একটি উৎসব, উৎসবটাকে কিন্তু বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ উপভোগ করে। শ্রীপুরের মানুষদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান, কে বড় গোষ্ঠী, কে ছোট গোষ্ঠী এসবের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। আমরা একসাথে বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। শ্রীপুরে দুর্গাপুজায় কোনো ধরনের বাধা হয় না, হামলা হয় বা কোনো ধরনের নাশকতা হয়েছে বা নিরাপত্তা কোনো ব্যাঘাত হয়েছে এমন রেকর্ড নেই।
গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তিনি বলেন, গত জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণমাধ্যমে একটি স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। দেশের একটি নতুন অবস্থা তৈরি হয়েছে। দেশের পরিবর্তন আবহ হয়েছে। একটি দুর্নীতিবাজ সরকার, লুটেরা সরকার বিতাড়িত হয়েছে, অত্যাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে। যারা এদেশে দুর্নীতি করত, যারা এদেশের সম্পদ পাচার করেছে, তারাই এদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
হত্যা ও গুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিন হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, ৬০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ছাড়া কেউ চাকরি পায় নাই। আইনকে তারা দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে। জনগণ গত ১৭টি বছর ভোট দিতে পারে নাই, একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারে নাই। নানা কৌশলে ডামি নির্বাচন হয়েছে, এক তরফা ভোট হয়েছে, দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, মানবাধিকার বলতে কোনো কিছুই ছিল না, কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। আমরা আশা করবো, অর্থপাচারকারী দুর্নীতিবাজ যারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওই পরিস্থিতিতে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই না, দেশে দুর্নীতিবাজদের আগমন ঘটুক, স্বৈরাচার সরকারের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, এটা আমরা কোনদিনও চাই না। আমরা একসাথে সমৃদ্ধির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
শিহাব খান/পিএইচ