রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে গেছেন।
রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে গেছেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় সুনামগঞ্জের হোসেন বখত চত্বরে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে তাদের চার দফা দাবি জানান। সারাদেশর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে নিরবতা পালন করেন। এ সময় তারা সারাদেশে হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ইমনোদ্দোজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত সরকারের পদত্যাগের পর ‘আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লব’ ঠেকাতে চার দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে আমরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যাই। অনেকে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি।
আমরা মেহেদী নামে আমাদের এক ভাইয়ের বাসায় গিয়েছি। তার সঙ্গে এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। সে এখন সুস্থ আছে।
আরেক শিক্ষার্থী জিহান জোবায়ের ঢাকা পোস্টকে জানান, আজকে আমরা সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করি। আমরা চাই এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত যারা আছেন তাদের সবাইকে দ্রুততম সময়ের মাঝে আইনের আওতায় আনা হোক।
আন্দোলনকারীদের ৪ দফা দাবি হল- ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
রায়হান আলীম তামিম/আরকে