সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই এনআইডি জালিয়াতি করায় ইতোমধ্যেই তাদের এনআইডি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার ইসি আজিজের দুই ভাইয়ের এনআইডি জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হলো দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই এনআইডি জালিয়াতি করায় ইতোমধ্যেই তাদের এনআইডি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার ইসি আজিজের দুই ভাইয়ের এনআইডি জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হলো দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার।
জানা গেছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ, অভিযোগ আসে যে তার দুই ভাই জালিয়াতি করে একাধিক এনআইডি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানতে চাওয়া হয়। দুদক থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সময় ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নিই। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি যেন অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো না হয়। তদন্ত রিপোর্ট যেন সুষ্ঠুভাবে আসে।
তিনি বলেন, তদন্তে যেটা পাওয়া যায় যে মোহাম্মদ হাসান, হারিছ আহমেদ একই ব্যক্তি। আবার তোফায়েল আহম্মেদ জোসেফ ও তানভীর আহমেদ তানজীল একই ব্যক্তি। তারা দুই নামে, পিতার নাম পরিবর্তন ও ঠিকানা ওলট-পালট করে মোট চারটি এনআইডি করেন। চতুরতা করে চারবার এনআইডি করার বিষয়টি ভোটার তালিকা আইন ২০০৯, ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৪, এই চারটা আইনের পরিপন্থি। তারা ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ বিধি মোতাবেক পূরণ করেননি। তারা বায়োমেট্রিকও করেননি (আঙ্গুলের ছাপ দেননি)। এবং দূর থেকে এটা করেছেন। এখানে আসেননি।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান ছিলেন, তার একটা জোর তদবির ছিল যেন এটা করা হয়। এ হিসেবে এটা করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সময়ক্ষেপণ না করে আমরা চারটি এনআইডি একেবারে ব্লক করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই চারটা কার্ড আর ব্যবহার করতে পারবে না। ভবিষ্যতে এনআইডি যত সুযোগ সুবিধা আছে তা আর পাবে না। এছাড়া আমরা দুদকে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। দুদক যদি মনে করে পরবর্তীতে আমাদের কাছ থেকে আরও তথ্য নেওয়া বা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ অনিয়মে ইসি কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্পেসিফিক কার মাধ্যমে হয়েছে সেটা এখনো বের করতে পারিনি। যেহেতু সেনাপ্রধানের জোর তদবির ছিল, সেটা হয়ত জরুরি ভিত্তিতেই করা হয়েছিল।
এসআর/এসকেডি