আগুন খাওয়া টিম গঠন করে চাঁদাবাজি, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

আগুন খাওয়া টিম গঠন করে চাঁদাবাজি, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

নীলফামারীর ডিমলায় ভূমি দখল করে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও হামলা করে হত্যাচেষ্টা এবং নিরীহ কৃষকদের আহত করার অভিযোগে সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলায় ভূমি দখল করে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও হামলা করে হত্যাচেষ্টা এবং নিরীহ কৃষকদের আহত করার অভিযোগে সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৬ এ হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ডিমলা উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে কৃষক আনিছুর রহমান (৪০)। আদালত মামলা গ্রহণ করে ডিমলা সদর থানা পুলিশকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ৭২ জন কৃষককে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এইচএম ফিরোজ সরকার প্রমুখ। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মী। তাদের একটি সন্ত্রাসী টিম রয়েছে যার নাম আগুন খাওয়া। ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ডিমলার কুটিরডাঙ্গা এলাকার কৃষকদের প্রায় ৩০ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। বাধা দিতে গেলে জমির মালিকদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টায় আহত করে। এমনকি এলাকার হাটবাজার বাসাবাড়িতে হুমকি দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসে। তাদের ভয়ে এতদিন কেউ আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় বাদীসহ নিরীহ কৃষকরা তাদের প্রাপ্ত জমি ও ক্ষতিপূরণ ফিরে পেতে এবং আসামিদের বিচারের দাবিতে এ মামলা করেছেন। 

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহম্মদ রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মামলায় ২১টি ধারা আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডিমলা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

শরিফুল ইসলাম/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *