বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাস, কোনো চাঁদাবাজ থাকতে দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ, হবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে। আমরা আপনাদের মতামত শুনতে এসেছি। আমরা সামনের বাংলাদেশের রূপরেখা সেভাবে দেব যেভাবে দেশের মানুষ মতামত দেবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাস, কোনো চাঁদাবাজ থাকতে দেওয়া হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ, হবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে। আমরা আপনাদের মতামত শুনতে এসেছি। আমরা সামনের বাংলাদেশের রূপরেখা সেভাবে দেব যেভাবে দেশের মানুষ মতামত দেবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আজ যে ইতিহাসের মুখোমুখি হয়েছি সেই ইতিহাস শহীদের রক্তে লেখা। আমাদের ভাইয়েরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এই ইতিহাস আমাদের ভাইদের হাহাকারে লেখা। সেই ইতিহাসের নাম গণঅভ্যুত্থান, সেই ইতিহাসের নাম বিপ্লব। সেই বিপ্লবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনাকে হটাতে পেরেছি। এটা আমাদের প্রাথমিক বিজয়। আমাদের পরিপূর্ণ বিজয় এখনও আসেনি। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ফ্যাসিস্ট সিস্টেম পরিপূর্ণভাবে হঠানো পর্যন্ত আমাদের পূর্ণ বিজয় নেই।
কুমিল্লা আমার নিজের জেলা উল্লেখ করে এই সমন্বয়ক বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমি গর্বিত আমি কুমিল্লার সন্তান। গত ৩ আগস্ট একদফা ঘোষণার দিন বাসায় গিয়ে দেখেছিলাম বাহারের সন্ত্রাসী গুন্ডারা আমার কুমিল্লার ভাইবোনদের ওপর হামলা করেছে। আমি তখনই ঘোষণা দিয়েছি আগামীকাল ৪ আগস্ট বাহারের সন্ত্রাসীরা যাতে আর দাঁড়াতে না পারে। আজকে হাসিনার পতনের কৃতিত্ব সব শিক্ষার্থীর। নির্দিষ্ট কারো কৃতিত্ব নেই।
আমরা দেখেছি ৫ তারিখের পর সারাদেশে চাঁদাবাজি চলছে। এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। যেভাবে আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরিয়েছি সেভাবেই চাঁদাবাজদেরও হটাতে পারব, বলেন তিনি।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, সুমাইয়া আক্তার, হামযা মাহবুব, জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহমেদ আরাফ, আবু রায়হান, তাছনিয়া নাওরিন, মহিদুল ইসলাম রিন্তু, ফারিয়া রহমান, খালেদ হাসান এবং নাঈম আবেদিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরিফ আজগর/জেডএস