লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। সুমন ও তার স্ত্রী সন্ধান মেলে মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার (৪৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের সন্ধান মেলে। এমনকি তার কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের (৩৮) ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা পাওয়া গেছে।
লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। সুমন ও তার স্ত্রী সন্ধান মেলে মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার (৪৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের সন্ধান মেলে। এমনকি তার কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের (৩৮) ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে তাদের তিনজনের নামে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত সুমন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা শহরের কালীবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। হুন্ডির ব্যবসার কারণে তিনি হুন্ডি সুমন নামেও জেলাজুড়ে পরিচিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ ও অর্থ পাচার ইত্যাদির বিষয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ। অনুসন্ধানে সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা, তার স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমার (৪৩) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ টাকার সন্ধান মেলে।
এছাড়া সুমন খানের কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুমের (৩৮) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা পাওয়া গেছে। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের জমা, স্থানান্তর ও রুপান্তর করা হয়। এসব অপরাধে ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি পুলিশ।
সিআইডি লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল হাই সরকার জানান, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামিদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এফআরএস