আ.লীগ নেতারা কীভাবে পালিয়েছে তার তদন্ত হচ্ছে : প্রেস সেক্রেটারি

আ.লীগ নেতারা কীভাবে পালিয়েছে তার তদন্ত হচ্ছে : প্রেস সেক্রেটারি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে অনেক নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা কীভাবে দেশ ছেড়েছেন সেটির তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে অনেক নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা কীভাবে দেশ ছেড়েছেন সেটির তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে অংশ নেয় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সে বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে কাদের সহযোগিতা ছিল বলে সরকার মনে করে– এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। কেন, কীভাবে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলেন তা নিয়ে সরকার তদন্ত করছে। একটা বিষয় স্পষ্ট, তা হলো ৫-৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশে কোন সরকার ছিল না, প্রায় এক সপ্তাহের মতো পুলিশ ধর্মঘটে ছিল, ফলে অনেক ক্ষেত্রে শুনছেন যে লোকটা পালাচ্ছেন কিন্তু পুলিশ দিয়ে ধরতে হবে, সেই জায়গায় ওই সময় একটা গ্যাপ ছিল। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল তাদের গ্রেপ্তার করা, এখনও চেষ্টা করছি যারা যারা বাংলাদেশের আছেন তাদের গ্রেপ্তার করতে। তারা কীভাবে পালাল তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছে। তাদের বক্তব্যের মধ্যে ছিল নির্বাচন, সংস্কার। এছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও তাদের অর্থনৈতিক অপরাধ, গণহত্যার বিচার কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে ১৪ দলসহ আওয়ামী লীগের অন্য শরিক যারা গণভবনে বসে জুলাইয়ের শেষে ও আগস্টের শুরুতে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করেছে এবং আওয়ামী লীগকে গণহত্যার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন মাঠে ও সরকারের নীতিনির্ধারণে, এক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকদের নিষিদ্ধের দাবি এসেছে। তাদের রাজনীতি কীভাবে সীমাবদ্ধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা এসেছে। গত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তা অবৈধ, এ তিনটা নির্বাচন কীভাবে অবৈধ ঘোষণা করা যায় তা নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে একটি দল বলছে।

মাহফুজ আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সরকারের জায়গা থেকে আশ্বস্ত করেছেন, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা ও তৈরি পোশাক পরিস্থিতি নিয়ে। একইসঙ্গে নির্বাচন ও সংস্কার সমান্তরালে চলবে।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো আশ্বস্ত করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে– তিনি বলেন, সার্চ কমিটি ঠিক করবেন নির্বাচন কমিশনার কারা হবেন। পরে আরও অনেকগুলো কার্যক্রম হবে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, গত তিনটা নির্বাচনে তরুণরা ভোট দিতে পারেননি। তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তসহ অনেকগুলো প্রসিডিওর আছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশন এসে ঠিক করবে। এতটুকু পর্যন্ত আমাদের আলোচনা অগ্রসর হয়েছে। এর পরবর্তী আপনারা দেখবেন কীভাবে একটা রোডম্যাপ অনুযায়ী চলবে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে হবে।

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ওনারদের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবস্থান তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করা হতো। সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা দেখতে পারবেন। এটার আইনি ও প্রশাসনিক দিক আছে, তা অচিরেই দেখতে পারবেন। নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হলে বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে।

এনএম/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *