অযোগ্য ২৫০০০ মানুষের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চেয়েছিলেন শাজাহান খান

অযোগ্য ২৫০০০ মানুষের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চেয়েছিলেন শাজাহান খান

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অযোগ্য ২৫ হাজার মানুষের জন্য তালিকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অযোগ্য ২৫ হাজার মানুষের জন্য তালিকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ২০০৩ বা ২০০৪ সালের দিকে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক একটি বৈঠকে আমি ছিলাম। সেখানে একজন বিশেষ ব্যক্তি ছিলেন, তিনিও একমত হলেন সড়ক আমাদের নিরাপদ করতে হবে। ড্রাইভারদের খুব ভালো মানের ড্রাইভার হতে হবে। এরপর আমি যখন বিআরটিএর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেলাম, তখন সেই ভদ্রলোক ২৫ হাজার চালকের একটি তালিকা নিয়ে এসে বললেন এদের সবাইকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। তার নাম শাজাহান খান।

তিনি বলেন, শাজাহান খান শেষ হয়ে গেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। শাজাহান খান এখনো আছে। আমি শুধু একটা নাম হিসেবে শাজাহান খান বললাম, যারা অযোগ্য মানুষকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যান। সেদিন শাজাহান খান বললেন, রাস্তায় ড্রাইভার যদি গরু আর বলদ চিনে তাহলেই হবে। মানুষ চেনার কোনো দরকার নেই। এটা যদি একজন সড়ক হাতের নেতার বক্তব্য হয় শেষ পর্যন্ত পরিণতি কীভাবে সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। 

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা কাজ করে অর্থ উপার্জন করবে বা কিছু কাজ করে বাবা-মায়ের বোঝা লাঘব করবে সেই সুযোগটা নেই। আমরা চেষ্টা করছি ট্রাফিক দিয়ে শুরু করতে। আমরা ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সড়ক নিরাপত্তার কাজে আনতে চাই। এতে করে অন্তত সড়কটা নিরাপদ হোক এবং তারা কিছু পয়সা উপার্জন করুক। এতে করে তারা নিজেদের আংশিক খরচ নিজেরা মেটাতে পারবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

এমএইচএন/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *