অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায় বন্যা, ১৯ জনের মৃত্যু

অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায় বন্যা, ১৯ জনের মৃত্যু

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতের দক্ষিণের দুই রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া এবং গুন্টুর শহরে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ভারী বর্ষণের জেরে নদী ও বিভিন্ন বাঁধ উপচে পড়েছে। বিজয়ওয়াড়া শহরে দুই দশক ধরে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হয়নি৷ 

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতের দক্ষিণের দুই রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া এবং গুন্টুর শহরে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ভারী বর্ষণের জেরে নদী ও বিভিন্ন বাঁধ উপচে পড়েছে। বিজয়ওয়াড়া শহরে দুই দশক ধরে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হয়নি৷ 

এদিকে শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকা ও সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে৷ শুধু ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিজয়ওয়াড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের জেরে ঘরবাড়ি পড়ে গেছে ৷ তবে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কারণে কেউ হতাহত হয়নি। যারা পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছেন তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ভারী বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানাও৷ হায়দরাবাদ-সহ তেলেঙ্গানার অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। প্রায় সব জেলাতেই মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত  ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এতে ওয়ারাঙ্গল জেলার কাজিপেটের কাছে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল ৷ 

মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি টেলিকনফারেন্স করেছেন এবং মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং রাজ্য পৌর প্রশাসন, শক্তি, পঞ্চায়েতি রাজ ও সেচ বিভাগের কর্মকর্তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সোমবার সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বান্দি সঞ্জয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তেলেঙ্গানায় ভারী বর্ষণ এবং খাম্মাম জেলার পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অমিত শাহ মোট ৯টি এনডিআরএফ টিম যার মধ্যে চেন্নাই, ভাইজ্যাগ এবং অসম থেকে ৩টি করে এনডিআরএফ তেলেঙ্গানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *