দেশের পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ফিল্ড হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পৃথক ১২টি টিমে প্রায় ৭০ জনের অধিক চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায় ইতোমধ্যে হাসপাতাল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
দেশের পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ফিল্ড হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পৃথক ১২টি টিমে প্রায় ৭০ জনের অধিক চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায় ইতোমধ্যে হাসপাতাল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ফিল্ড হাসপাতালের অন্যতম সমন্বয়ক ডা. এস এম মামুনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালনায় এ হাসপাতাল গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলায় কাজ করছে এই হাসপাতাল। এর মধ্যে ফেনীতে বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে ১২টি টিম। এছাড়া বন্যাদুর্গত অন্যান্য এলাকাতেও এই হাসপাতাল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।
চলতি ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী জেলা। অতিবৃষ্টি আর ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানিতে ডুবেছে জেলার প্রায় সব কিছুই। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় আট লাখ মানুষ। এমনকি পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ডুবেছে জেলা সদর হাসপাতালও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে ফেনীর উদ্দেশ্যে প্রথম মেডিকেল টিম রওনা হয়। এরপর রোববার রাতে ঢাকা থেকে আরও দুটি টিম যায় নোয়াখালী ও কুমিল্লায়। সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আজ রাতে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে একটি টিম যাওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ফেনীতে প্রথম দিনে একটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হলেও সোমবার বেড়েছে এর পরিসর। ইতোমধ্যে দুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে ১২টি টিম। এসবের সমন্বয় করছেন ডা. এস এম মামুন ও ডা. মিনহাজুল আবেদিন।
ফিল্ড হাসপাতালের অন্যতম সমন্বয়ক ডা. এস এম মামুন বলেন, শনিবার রাতে কিছু চিকিৎসক নিয়ে আমরা ঢাকা থেকে ফেনী আসি। এখানে আরও কিছু চিকিৎসক আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আজকে মোট ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সবমিলিয়ে ১২টি টিমে প্রায় ৭০ জন কাজ করছেন আমাদের সঙ্গে। এর মধ্যে চল্লিশের অধিক চিকিৎসক, বেশ কিছু মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা দুই দিনে কয়েক হাজার মানুষকে সেবা দিয়েছি। গতকাল আমরা একটা সেন্টারেই সেবা দিয়েছি। ওই সময়ে প্রায় ৩৭৫ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে। আজকে আমাদের সেবার পরিধি বেড়েছে।
টিআই/এসএম