ইসলামী ছাত্রশিবির জমিনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কোনো ময়দান কারও জন্য খালি পড়ে থাকে না। খালি জায়গায় যদি ভালো গাছ লাগানো না হয়, তাহলে সেখানে আগাছা দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। ছাত্রশিবির আগামীতে সুন্দর বাগান তৈরির কাজ করবে।
ইসলামী ছাত্রশিবির জমিনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কোনো ময়দান কারও জন্য খালি পড়ে থাকে না। খালি জায়গায় যদি ভালো গাছ লাগানো না হয়, তাহলে সেখানে আগাছা দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায়। ছাত্রশিবির আগামীতে সুন্দর বাগান তৈরির কাজ করবে।
রোববার (২৫ আগস্ট) ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশে’ এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর, শহর ও জেলা শাখার দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
জামায়াত আমির বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আজ আমাদের জন্য আল্লাহ এই ময়দান উন্মুক্ত করেছেন। এই উন্মুক্ত ময়দানে যদি আমরা ভালো কাজ নিয়ে বিচরণ করতে না পারি, তাহলে অন্যায় দিয়ে সমাজ ভরে যাবে। সুতরাং আমাদের আর বসে থাকার সময় নেই। আজকের কাজ আজকেই শেষ করতে হবে; কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা যাদের দ্বারা জুলুমের শিকার হয়ে আসছি, সময়ের ব্যবধানে তারাই আজ লাঞ্ছিত, অপমান-অপদস্ত হচ্ছে। তবে, আমরা প্রতিশোধপরায়ণ হতে চাই না। আমরা সবাইকে ক্ষমা করে দিতে চাই। কোনো মহলকেই আমরা দূরে ঠেলে দিতে চাই না। সব দল-মত, ধর্ম, বর্ণ মিলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের উচিত হবে, উসকানিমূলক কথা বা বক্তব্য থেকে নিজেদের ও আমাদের সব স্তরের জনশক্তিদের বিরত রাখা।
শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল আমল খান মিলন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথিরা ইসলামী ছাত্রশিবির দেশ ও জাতি গঠনে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য প্রতিটি সময় বা যুগই চ্যালেঞ্জের। আমাদের নৈতিকতার ভিত্তিতে যুগের চাহিদার আলোকে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, কাজেই আমরা যদি দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, আমাদের তাকাওয়ার মানদণ্ডে নিজেদের উন্নীত করতে হবে। তাকওয়ার ভিত্তিতে নিজেদের গড়ে তুলে জাগতিক শক্তি ও ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। তবেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে।
জেইউ/কেএ