যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাজ বন্ধ

যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাজ বন্ধ

গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে বন্ধ রয়েছে কাজ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ চাঁদাবাজ প্রকল্পের ওই কাজে ১০ লাখ টাকা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন। ফলে চলমান এ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। 

গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রক্ষা প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে বন্ধ রয়েছে কাজ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ চাঁদাবাজ প্রকল্পের ওই কাজে ১০ লাখ টাকা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন। ফলে চলমান এ প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীহাট এলাকার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট। 

এ সময় লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীবেষ্টিত গাইবান্ধার চার উপজেলা ভাঙন প্রবণ হওয়ায় সরকার যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন রোধে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এবং সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী, হলদিয়া ও মুন্সিরহাট এলাকা রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজটির দায়িত্ব পান ঢাকার হাসান ব্রাদার্স ও বিজে কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দায়িত্ব পেয়ে প্রকল্পটির কাজও শুরু করেন তারা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি সুষ্ঠুভাবে তদারকি ও দেখভালের জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী কাজটির তদারকি করেন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সুজা ও চেয়ারম্যানের লোকজন। সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলে প্রকল্পের কাজ।

কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট এলাকার আওয়ামী লীগের একাংশের আলমগীর হোসেন, আলতামাস আহম্মেদ সোহাগ, আনোয়ার হোসেন, গোলাম হোসেন, বেকো, বিপুলসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ মুন্সিরহাট প্রকল্প এলাকায় এসে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা অথবা কাজের অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।

চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান সুইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁদাবাজরা আওয়ামী লীগেরই একাংশ। তারা মরহুম ফজলে রাব্বী তথা ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলীর লোকজন। বিগত সময়ে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে, তার (চেয়ারম্যানের) জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি চেয়ারম্যান প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিচার আওতায় আনার দাবি জানান। 

রিপন আকন্দ/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *