ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান মিন্টু  

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান মিন্টু  

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ব্যাংকের ৫০৫তম পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের নির্বাচিত করা হয়। 

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়। আবদুল আউয়াল মিন্টু দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। এছাড়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লাল তীর সিড লিমিটেড, নর্থ সাউথ সিড লিমিটেড, প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডসহ বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানে।

এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত রয়েছেন হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ পেট্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, মাল্টিমোড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মাল্টিসোর্সিং লিমিটেডসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। 

১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রামের মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি থেকে নটিক্যাল সায়েন্সে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক মেরিটাইম কলেজ থেকে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএসসি এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধীনে কুইন মেরি কলেজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল-এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রের বিস্তারেও আবদুল আউয়াল মিন্টুর রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। তার পৈতৃক গ্রামে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং অসংখ্য সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে তার সক্রিয় সম্পৃক্ততা রয়েছে। লন্ডনের অ্যাথেনা প্রেস দ্বারা প্রকাশিত “বাংলাদেশ অ্যানাটমি অফ চেঞ্জ” সহ বেশ কয়েকটি খণ্ডের লেখক হিসেবেও তিনি পরিচিত। অপরদিকে, মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের একজন নেতৃস্থানীয় এবং সফল উদ্যোক্তা। তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের একজন উদ্যোক্তা পরিচালক এবং সাবেক চেয়ারম্যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করার পর, তিনি ১৯৬৮ সালে জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান। নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাপানে থাকার সময়, তিনি ১৯৭১ সালে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি সফলভাবে নিজেকে সর্বকনিষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার হাত ধরেই জাপান থেকে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আসা শুরু হয়। হোসাফ গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের সেই উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন যিনি দেশে ও বিদেশে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। তিনি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রথম জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে হোসাফ গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মোয়াজ্জেম হোসেন প্রগতি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এসআই/এসকেডি 

 One attachment

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *