ভান্ডারিয়ার সাবেক ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ভান্ডারিয়ার সাবেক ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিরাজ সিকদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিরাজ সিকদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. একরাম আলী মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিরন, ভান্ডারিয়া জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ লীগের সভাপতি নাদিম সিকদার, উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবুল সিকদার, ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মামুন সিকদার, উপজেলার ইকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু তালুকদার।

ওসি মো. আসিকুজ্জামান বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-৫) উত্তরায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভান্ডারিয়া থানা থেকে দুইজন পুলিশ সদস্য মামলার বাদী ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিরাজ সিকদারকে থানার ওসি সাহেব দেখা করতে বলেছেন বলে থানায় নিয়ে যান। ওই দুইজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বাদী মিরাজ সিকদার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে থানায় পৌঁছান। তখন ওসি আসিকুজ্জামান তার থানার পাশে বাসভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় এবং মিরাজ সিকদারের কাছে পাঁচ লাখ ঢাকা দাবি করেন, অন্যথায় তাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ সময় বাদী মিরাজ সিকদার ওসি আসিকুজ্জামানকে অনুরোধ করে বলেন, ৫ লাখ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই এবং তাকে মামলা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে ২ লাখ ৫০ হাজারো টাকা চাঁদা দিলে আর মামলা দিবে না মর্মে আশ্বস্ত করেন। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত বাদীকে থানা হাজতে রাখেন। পরে ২ লাখ ৫০ হাজারো টাকা চাঁদা দিয়ে বাদী মিরাজ সিকদার থানা থেকে বের হতে গেলে বাইরে থাকা অন্যান্য আসামিরা আরও ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাদী প্রাণভয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে যান।

এ বিষয়ে বুধবার (২১ আগস্ট) বাদী মিরাজ সিকদার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় থানা পুলিশ, এরপর বাদী আদালতে এ মামলা করেন।

মামলার বাদী মো. মিরাজ সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তখন মামলা করার সুযোগ না থাকায় মামলাটি করতে পারিনি। আজ (বুধবার) সাহস করে পিরোজপুর আদালতে মামলাটি করেছি। আশা করি আমি আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. একরাম আলী মোল্লা বলেন, ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

শাফিউল মিল্লাত/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *