শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে নিহত সব শহীদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে এবং শহীদ পরিবারের পাশে সবসময় রাষ্ট্র থাকবে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারকে হটিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছি, শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে রাষ্ট্র দেবে না। এই স্বাধীনতা ও বিপ্লবকে রক্ষা করতে হবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণকে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে নিহত সব শহীদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে এবং শহীদ পরিবারের পাশে সবসময় রাষ্ট্র থাকবে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারকে হটিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছি, শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে রাষ্ট্র দেবে না। এই স্বাধীনতা ও বিপ্লবকে রক্ষা করতে হবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণকে।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাার যাওয়া মোহাম্মদ ইসমামুল হকের কবর জেয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, ইসমামদের মতো যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে ভয় পায়নি সেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কারণেই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, দেশের জন্য তাদের এই আত্মত্যাগ ও বলিদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শহীদ ইসমামের মায়ের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে মাথা উঁচু করে বলবেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ইসমামের গর্বিত মা। আপনাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই স্বৈরাচারকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমানসহ জনপ্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের দর্জিপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসমামুল হক (১৬) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মাার যান এবং ৮ আগস্ট রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আরএমএন/জেডএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *