বোলিং তোপে ক্যারিবীয়দের সিরিজ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

বোলিং তোপে ক্যারিবীয়দের সিরিজ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

পুরো ম্যাচেই দাপট দেখালেন বোলাররা। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলের ব্যাটাররাই ছিলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে তটস্থ। তবে দুয়েকটা ভালো ইনিংসও দেখা গেছে, আর সেটাই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে। মাত্র তিনদিনেই শেষ হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবীয়দের ৪০ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। কাগিসো রাবাদা ও কেশভ মহারাজদের বোলিং তোপে ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২২২ রানে থেমেছে উইন্ডিজদের ইনিংস।

পুরো ম্যাচেই দাপট দেখালেন বোলাররা। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলের ব্যাটাররাই ছিলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে তটস্থ। তবে দুয়েকটা ভালো ইনিংসও দেখা গেছে, আর সেটাই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে। মাত্র তিনদিনেই শেষ হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবীয়দের ৪০ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। কাগিসো রাবাদা ও কেশভ মহারাজদের বোলিং তোপে ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২২২ রানে থেমেছে উইন্ডিজদের ইনিংস।

ক্যারিবীয় দ্বীপ গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম অনেকটাই বোলিং-সহায়ক বলে প্রতীয়মান হতে পারে। আর তার প্রমাণ দুই দলের স্কোরবোর্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে শামার জোসেফ ঘরের মাঠে অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেই পাঁচ উইকেট শিকার করেন। বিপরীতে ক্যারিবীয়রা তারচেয়ে ১৬ রানে (১৪৪) পিছিয়ে থেকে শেষ করে প্রথম ইনিংস। তাদের হয়ে জেসন হোল্ডার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ৫৪ রান করেন।

পরবর্তীতে ১৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী প্রোটিয়ারা। তাদের হয়ে ফিফটি হাঁকান দুজন। অবশ্য তাদের শুরুটাই হয়েছিল দারুণভাবে। দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি ও এইডেন মার্করাম মিলে ওপেনিং জুটিতে ৭৯ রান এনে দেন। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ডি জর্জিকে আউট করে তাতে লাগাম দেন স্বাগতিক পেসার জেইডেন সিলস। এই ইনিংসে তিনি একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।

মার্করাম ফিফটি করলেও, রান আর বাড়াতে পারেননি। থেমেছেন ৫১ রানেই। এরপর ত্রিস্তান স্টাবস ২৪ এবং অধিনায়ক বাভুমা দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন মাত্র ৪ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এদিকে, বাভুমার পর ডেভিড বেডিংহামও ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৫ রান তুলে প্রোটিয়াদের বড় পুঁজির দিকে নিয়ে যান কাইল ভেরাইনে ও উইয়ান মুল্ডার। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন ভেরাইনে, মুল্ডার ৩৪ রান করেন। 

সফরকারীদের দেওয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। দলীয় ১২ রানে মিকাইল লুইস আউট হয়ে দলের বিপদ বাড়ান। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটও ফেরেন ২৫ রান করে। এভাবে ১০০ রান পেরোতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন কাভেম হজ। শেষদিকে জশুয়া ডি সিলভা, গুদাকেশ মোতিরা চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার আগেই তারা আউট হয়ে ক্রিজ ছেড়েছেন।

ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন মোতি। এ ছাড়া ডি সিলভা ২৭ ও ওয়ারিকান ২৫ রান করেন। দল অলআউট হয়ে যায় ২২২ রানে। বিপরীতে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাাদা ও মহারাজ। তবে ৩৪ রানের পাশাপাশি দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নেওয়া মুল্ডারের হাতে উঠল ম্যাচসেরার পুরস্কার। সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো। উইন্ডিজ-প্রোটিয়াদের প্রথম টেস্ট নিষ্পত্তি হয়েছিল ড্র নিয়ে।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *