শেরপুরে সাবেক দুই এমপিসহ আসামি ৮ শতাধিক

শেরপুরে সাবেক দুই এমপিসহ আসামি ৮ শতাধিক

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাড়ি চাপা দিয়ে ও গুলি করে তিন শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার (১২ আগস্ট) নিহতদের স্বজনরা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দুটি করেন। 

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাড়ি চাপা দিয়ে ও গুলি করে তিন শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার (১২ আগস্ট) নিহতদের স্বজনরা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দুটি করেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। 

এর মধ্যে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সবুজ হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর-১ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর রুমানসহ ২৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়িচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

শিক্ষার্থী সবুজ হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন তার বৈমাত্রীয় ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন। আর শিক্ষার্থী মাহবুব আলম ও সৌরভ হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন মাহবুবের মা মাফুজা খাতুন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওইসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। 

মামলা দুটির এজাহারে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট বিকেলে শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেন ও গুলি ছোড়েন। এ সময় শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় প্রশাসনের দ্রুতগতির গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজশিক্ষার্থী মাহবুব আলম নিহত হন। অপর দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সবুজ মিয়া প্রাণ হারান। তখনকার পরিস্থিতিতে নিহত দুই শিক্ষার্থীকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ নিজ এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়। মামলার বাদীপক্ষ এ ঘটনার জন্য দায়ী আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানান। ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে প্রশাসনের গাড়িচাপায় শারদুল আশিস সৌরভ নামে আরেক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এজাহারনামীয় সব আসামি পলাতক থাকায় অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এই দুই মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা শাখার নেতাকর্মীরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথক সমাবেশে শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমার ভাইদের যারা হত্যা করছে তাদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে যেন শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। 

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *