ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর এলাকার একটি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে উগ্রপন্থি ইহুদি বসতকারীরা। তাদের হামলায় স্থানীয় একজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর এলাকার একটি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে উগ্রপন্থি ইহুদি বসতকারীরা। তাদের হামলায় স্থানীয় একজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
আগুন হামলার শিকার হওয়া ওই গ্রামটির নাম জিট, অবস্থান পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে একদল বসতকারী গ্রামের ভেতর ঢুকে ইট-পাটকেল এবং মলোটভ ককটেল (হাতে বানানো পেট্রোল বোমা) ছুড়তে থাকেন। তারপর এক পর্যায়ে বিভিন্ন বাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেন। কী কারণে এই হামলা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আগুনে পুড়তে থাকা জিটের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, গ্রামটির বিভিন্ন জায়গা থেকে কুন্ডলি পাকিয়ে উঠছে কালো ধোঁয়ার কুন্ডলি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়ে এক বার্তায় বলেছেন, “যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, “আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এখন এই ধরনের ঘটনা বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক। আমি অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তৎপরতা আশা করছি।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে অশান্ত হয়ে উঠেছে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর। সেখানকার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে নিয়মিত দাঙ্গা হচ্ছে স্থানীয় ফিলিস্তিনি ও বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে। এসব দাঙ্গায় এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে নিহতের হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
সূত্র : বিবিসি
এসএমডব্লিউ