জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে : প্রিন্স

জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে : প্রিন্স

ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পৌর শহরের মহিলা মার্কেট প্রাঙ্গণে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায় ভারত সরকারের হেফাজতে থেকে শেখ হাসিনা কীভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এটা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের আছে। একই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জয় ভারতকে বাংলাদেশে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে জয় আবারও প্রমাণ করলো জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত। আর এভাবেই ১৫ বছর ভারতের আনুকুল্যে ক্ষমতা জবরদখল করে গদিতে ছিল শেখ হাসিনা। কিন্তু জনদ্রোহের গণবিপ্লবে গদি হারিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, অবিলম্বে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। ইতিহাসের নিকৃষ্টতম এই স্বৈরাচারের বিচার না হলে শত শত শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রিন্স বলেন, এখনো প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থেকে অনেকেই ষড়যন্ত্রে ইন্ধন দিচ্ছে। এই আওয়ামী প্রেতাত্মাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। কারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণকে নিয়ে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার কল্পিত কাহিনি প্রচার করে তাদেরকে ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার বানাতে চাইছে। কিন্তু তার ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে ও আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র-ছনতা আন্দোলনে শহীদ বিজয় ফরাজীর বাবা সাইদুল ফরাজী, শহীদ রাজু আহমেদের মা রাহেলা খাতুন, গুলিবিদ্ধ মেহেদী হাসান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আরফান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে একই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *