কোটা আন্দোলনে সমর্থন : শিক্ষিকাকে ফেসবুকে হুমকি দিয়ে ছুরিকাঘাত

কোটা আন্দোলনে সমর্থন : শিক্ষিকাকে ফেসবুকে হুমকি দিয়ে ছুরিকাঘাত

কোটা আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তাহমিনা ইয়াছমিন নুপুর (২৮) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট টিঅ্যান্ডটি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

কোটা আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তাহমিনা ইয়াছমিন নুপুর (২৮) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট টিঅ্যান্ডটি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাহমিনা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

আহত তাহমিনা ইয়াছমিন বসুরহাট একাডেমি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। তিনি কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাহারের মেয়ে।

জানা গেছে, আন্দোলনের শুরু থেকেই কোটা সংস্কারের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব ছিলেন তাহমিনা ইয়াছমিন। সোমবার (১২ আগস্ট) ‘সৈনিক বাংলা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাকে মেসেঞ্জারে হুমকি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বসুরহাট একাডেমির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষিকার বাবা আবুল বাসার বাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, “আমার মেয়ে তাহমিনা সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিল । স্কুলের কাছাকাছি টিঅ্যান্ডটি এলাকায় পৌঁছাতেই দু-তিনজন তার পথরোধ করে। একজন পেছন থেকে তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। আরেকজন পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আমার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাহমিনাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”

আহত তাহমিনা ইয়াছমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, “আন্দোলনের শুরু থেকেই কোটা সংস্কারের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব ছিলাম। এর জেরে সোমবার (১২ আগস্ট) ‘সৈনিক বাংলা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে মেসেঞ্জারে হুমকি দেওয়া হয়। আমাকে, আমার ছেলেকে এবং ভাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই আজ এমন ঘটনা ঘটল। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

প্রতিনিধি/এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *