বৈষম্যহীন মেধাভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৯ দাবি দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
বৈষম্যহীন মেধাভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৯ দাবি দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল এবং আপামর জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য সব উপদেষ্টাকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও অকুণ্ঠ সমর্থন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৯ দাবি হলো-
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের দর্শন ও জন-আকাঙ্খার প্রতিফলন হিসেবে নিরপেক্ষ, দক্ষ ও পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
২. বিগত অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর এবং ছাত্র জনতার ন্যায় সংগত আন্দোলনে বাধাদানকারী এবং ছাত্র হত্যার মদদ দানকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বর্ণচোরা দলদাস কর্মকর্তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে শত শত শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা উক্ত মহল বিশেষের চক্রান্তে নস্যাৎ হয়ে যেতে পারে।
৪. সব পর্যায়ের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর, নিরপেক্ষ এবং জন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে।
৫. বিগত ১৬ বছরে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি ও বঞ্চনার শিকার সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে।
৬. গত ১৬ বছরের বৈষম্য ও অবিচারের শিকার এবং পদোন্নতি বঞ্চনার জন্য দায়ী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দোসর সব কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে সীমাহীন এই বঞ্চনার বিচার করতে হবে।
৭. পতিত, স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতির সহযোগী সব দুর্নীতিবাজ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনীয় কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় এনে প্রশাসনকে দুর্নীতি মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
৮. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে এবং প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগকৃত বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনঃপরীক্ষার জন্য বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৯. বিগত ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সনের ভোটারবিহীন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সকল কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের অপেশাদারি দলীয় আচরণের দায়ে এবং গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে দায়ী করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এমএসআই/পিএইচ