সেনাবাহিনীর সহায়তায় নোয়াখালীর ১০ থানায় কার্যক্রম শুরু

সেনাবাহিনীর সহায়তায় নোয়াখালীর ১০ থানায় কার্যক্রম শুরু

হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণহানির পর ২ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার কার্যক্রম সেনাবাহিনীর সহায়তায় শুরু হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিধ্বস্ত থানা কম্পাউন্ড পরিষ্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলেন। এ ছাড়াও জেলার ১০টি থানার সবকটিই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুরোদমে কার্যক্রম শুরু ক‌রে‌ছে।

হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণহানির পর ২ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার কার্যক্রম সেনাবাহিনীর সহায়তায় শুরু হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিধ্বস্ত থানা কম্পাউন্ড পরিষ্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলেন। এ ছাড়াও জেলার ১০টি থানার সবকটিই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুরোদমে কার্যক্রম শুরু ক‌রে‌ছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। 

এসময় সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্প ইনচার্জ লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান  লুট হওয়া অস্ত্র জমা দিতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আরো ৪ দিনের সময় বেধে দেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলায় আমরা শুরু থেকেই ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও সুন্দরভাবে কর্মসূচি শেষ করেছে। আমাদের সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় যা ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা আজ সেই দুটি থানারও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। এসব থানার যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য চার দিন সময় দিয়েছি। আমি মনে করি যারা নিয়েছেন তারা এসব হেফাজতে রাখার জন্য নিয়েছেন। তাই শুক্রবারের (১৬ আগস্টের) মধ্যে জমা দিয়ে যাবেন। সবার সহযোগিতায় আমরা সুন্দর ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে মানুষের সেবা দিতে চাই।

চাটখিল থানার সাইফুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের ভেতর যেমন ভালো খারাপ আছে তেমন পুলিশের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে। তবে প্রকৃত অর্থে পুলিশ আমাদের বন্ধু। আমরা গত কয়েক দিনে তাদের অনুপস্থিতিতে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা পুলিশের সাথে সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক পোস্টকে বলেন, পুলিশ জনতার বন্ধু। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের এই থানায় কোনো ছাত্রের সঙ্গে পুলিশের মতবিরোধ হয়নি। আমাদের কাছে সবাই সমান। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের ফলে চাটখিলে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। থানায় পুলিশ কাজে যোগদান করায় মানুষ আরও বেশি খুশি হয়েছে।

সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্প ইনচার্জ লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেনাবাহিনী আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আপনারা নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। স্থানীয় মন্দির গুলো আপনারা পাহারা দিবেন। আশাকরি সম্প্রীতির বার্তা সবাই পাবে এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে সুন্দর বাংলাদেশ  

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়। এতে দুই পুলিশসহ পাঁচজন মানুষ মারা যায়। পরবর্তীতে চাটখিল থানায় আগুন জালিয়ে দিয়ে অস্ত্র লুট করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *