সহকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো কখনোই বলবেন না

সহকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো কখনোই বলবেন না

ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য

সহকর্মীরা আমাদের অন্যতম আপনজন। কারণ পরিবারের বাইরে আরেক পরিবার হলো কর্মক্ষেত্র। দিনের একটি বড় অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটাতে হয়। তাইতো নানা হাসি, আড্ডা, গল্পের স্মৃতি গড়ে উঠতে থাকে তাদের সঙ্গে। সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে তা কাজের পরিবেশ আরও সহজ করে দেয়। তবে নিজের সব কথা সহকর্মীদের সঙ্গে বলা জরুরি নয়, উচিতও নয়। কিছু কথা আছে যেগুলো তাদের কাছে না বলাই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য

আপনার আর্থিক পরিস্থিতি গোপন রাখুন, সহকর্মীদের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করবেন না। আপনার বেতন, ঋণ বা বিনিয়োগ অনেক সময় অফিসে অপ্রয়োজনীয় চাপ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারে। তারা আপনার জীবনযাপন বা অর্থ পরিচালনা করার ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনেই মন্তব্য করতে পারে, এটি অন্যদের প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্ত তথ্য গোপনীয় হওয়া প্রয়োজন যাতে অন্যদের সঙ্গে পেশাদার স্থান বজায় রাখতে পারেন এবং অর্থের সঙ্গে জড়িত কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ করতে পারেন।

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস

কর্মক্ষেত্রে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে কথা বলা হবে দ্বিধারী তলোয়ারের মতো। আপনি যা বিশ্বাস করেন তা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে লোকেরা বিভিন্ন মতামত রাখতে পারে এবং এটি তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার কারণ হতে পারে। যদি আপনার কর্মক্ষেত্রকে শান্তিপূর্ণ এবং সংহত হিসাবে বজায় রাখতে চান, তাহলে সেখানে এ ধরনের আলোচনা করা এড়িয়ে চলুন। পেশাদার আগ্রহের সাধারণ বিষয়গুলোতে ফোকাস করুন।

সহকর্মী বা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নেতিবাচক মতামত

সহকর্মীদের কিংবা ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাজে কথা বলা বা গসিপ করা কাজের সম্পর্ককে বিষাক্ত করতে পারে। হয়তো সেগুলোর সমালোচনা করা সঠিক, কিন্তু এটি আপনার নেতৃত্বেরওপর আস্থা রাখার বিষয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি যদি আপনার মতামতকে ন্যায্য মনে করেন, তবে সেগুলো প্রকাশ করার ফলে বিশ্বাসের সমস্যা হতে পারে এবং আপনার খ্যাতির ক্ষতি হতে পারে। মতামত প্রকাশ করা এড়িয়ে চলুন বা প্রয়োজনে বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা বা এইচআর এর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে আলোচনা করুন। ইতিবাচক এবং সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখুন। এটি সহযোগিতামূলক এবং সহায়ক কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

ভবিষ্যতের কাজের পরিকল্পনা

যতক্ষণ না অফিসিয়াল ঘোষণা করতে প্রস্তুত হন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার ভবিষ্যত কাজের পরিকল্পনাগুলো গোপন রাখা ভালো। কোম্পানী ত্যাগ করার বা অন্য সুযোগ খোঁজার আপনার উদ্দেশ্য শেয়ার করা অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে এবং আপনার বর্তমান ভূমিকাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার চাকরির পরিকল্পনা ব্যক্তিগত রাখলে তা কর্মজীবনের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

এইচএন

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *