জাতীয় মসজিদে বায়তুল মোকাররমের পূর্ব ও দক্ষিণ চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয়েছে ইসলামী বইমেলা। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেছে, চারিদিকে ইসলামী বইয়ের সমারোহ। সারি সারি সাজানো বই দেখলেই পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। ইসলামী লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের এই মিলন মেলায় জমে উঠেছে ইসলামী বইয়ের বেচাকেনা।
জাতীয় মসজিদে বায়তুল মোকাররমের পূর্ব ও দক্ষিণ চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয়েছে ইসলামী বইমেলা। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেছে, চারিদিকে ইসলামী বইয়ের সমারোহ। সারি সারি সাজানো বই দেখলেই পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। ইসলামী লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের এই মিলন মেলায় জমে উঠেছে ইসলামী বইয়ের বেচাকেনা।
মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য ও গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ এম ডি মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ইসলামী বই মেলায় এবার প্রথম খুবই প্রাণবন্ত এবং জমজমাট একটা মেলা চলছে।’
পাঠদের আনাগোনার সঙ্গে বেচাকেনা কেমন হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মেলায় অনেকের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রত্যেকে তার জায়গা থেকে হ্যাপি এবং তারা যথেষ্ট পাঠকদের থেকে সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। বেচাকেনাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু একমাত্র বিষয় না।’
এরপর বলেন, ‘প্রকাশকরা যেটা করেন বিভিন্ন মেলাগুলোতে তাদের কনটেন্টগুলো ডিসপ্লে করেন। বইমেলাতে লেখক-পাঠক প্রকাশকদের একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়। একটা মিলন মেলা তৈরি হয়, সেখানে পাঠকরা বিভিন্নরকম পরামর্শ দেন। আইডিয়া দেন মূলত এগুলো মেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়াফি লাইফ প্রকাশনীর মার্কেটিং বিভাগের ইব্রাহীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০দিন ব্যাপী ইসলামী বইমেলা হচ্ছে। আমাদের এখানে দূর-দুরান্ত থেকে পাঠকরা এসেছে। পাঠককেন্দ্রিক বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এবং কতৃপক্ষের কাছে আমার প্রতাশ্যা তারা যেন এই মেলাতে মাসব্যাপী করার জন্য উদ্যোগ নেয়।
আইসিএস পাবলিকেশনের আবু হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই প্রথমবার আইসিএস পাবলিকেশন ইসলামী বইমেলায় স্টল দিয়েছে। বই বিক্রির বিষয়ে বলেন, আমরা আশানুরূপ পাঠকদের থেকে সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন স্টলে নতুন বই নিয়ে আসতে হচ্ছে। আমাদের প্রকাশনীর বইগুলোতে পাঠকদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
শনির আখড়া থেকে ইসলামি বই মেলায় এসেছেন জুনায়েদ ফরাজি। বই মেলা নিয়ে তার ভাবনাগুলো প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইসলামী বইমেলা আমাদের জন্য খুবই আনন্দজনক বিষয়। এবার ইসলামী বইমেলা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। যার অনূভুতি বলে শেষ করা যাবেনা।’
বইমেলা থেকে কী প্রত্যাশা রাখেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কাগজের মান হিসেবে বইয়ের দামে পার্থক্য রয়েছে। প্রকাশনী কতৃপক্ষ যেন বইয়ের মূল্যের ক্ষেত্রে দামটা একটু কম রাখে এবং ছাড় দেয় যাতে পাঠদের জন্য বই কেনা সহজ হয়।’
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঠক-লেখকদের সমাবেশ ও জাকজমকপূর্ণ পরিবেশ দেখে ইসলামী বইমেলা দেখতে ভালো লাগছে। আজকে মেলায় এসে ‘ব্যাবিচার’, ‘সত্যের সন্ধানে’, ‘সাহসী মানুষের গল্প’সহ অনেক বই কিনেছি।
ইসলামী বইমেলা কীভাবে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে বলে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ইসলাম ছাড়া মানুষ কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। ইসলামী বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে তা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিজীবন সুন্দর করা যায়। এরপর সেই ব্যাক্তি রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখেতে পারে।
এরপর বলেন, ‘সব কিছু ধোঁকা দিলেও বই কখনও ধোঁকা দেয়না। বই জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সুস্থ বই হলো মানুষের ব্ন্ধু। আর কুরআন হাদিস থেকে গবেষণা করে ইসলামী বই লেখা হয়, যেখানে কোনো ব্যক্তির মত প্রকাশ করা হয়না। ইসলামী বই কিনলে সবচেয়ে বেশি যেটা উপকার হবে, আমাদের নবী সা. এর যে আদর্শ সেটা ধারন করা যাবে।’
এমআইকে