নদী ভাঙনের মধ্যেই পাবনার পদ্মায় বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ

নদী ভাঙনের মধ্যেই পাবনার পদ্মায় বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ

পাবনার পদ্মায় নদী ভাঙনের মাঝেও থেমে নেই বালুখেকোরা। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পদ্মায় আবারও বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু করেছে তারা। এতে নদীর তীরে আরও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে, বিলীন হচ্ছে কৃষকের শত শত বিঘা কৃষি জমি। বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের সাবেক বিএনপিপন্থি চেয়ারম্যান হযরত আলী।

পাবনার পদ্মায় নদী ভাঙনের মাঝেও থেমে নেই বালুখেকোরা। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পদ্মায় আবারও বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু করেছে তারা। এতে নদীর তীরে আরও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে, বিলীন হচ্ছে কৃষকের শত শত বিঘা কৃষি জমি। বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের সাবেক বিএনপিপন্থি চেয়ারম্যান হযরত আলী।

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ভবানিপুরের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনের এই কর্মযজ্ঞ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায় দিনভর বালু উত্তোলন চলে সেখানে। আর ভাড়াটে সেসব সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দেন নাটোরের লালপুরের ইঞ্জিনিয়ার কাকন আলী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে পাবনার ভাঁড়ারায় আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন চলছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুই দফায় সেটি বন্ধ ছিল। পরে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেন দোগাছী ইউনিয়নের বিএনপিপন্থি সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলীসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা। দুই সপ্তাহ আগে তারা চর ভবানিপুরের পয়েন্টে এই কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। শতাধিক নৌকার মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫-২০ লাখ টাকার বালু উত্তোলন হয়। আর এর ভাগবাটোয়ারার অংশ চলে যায় সংশ্লিষ্ট সব মহলে। চর ভবানীপুরের পাশাপাশি তারা আবার দোগাছী ও ভাড়ারা এলাকায় বালু উত্তোলনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মনিরুল মোল্লা, সুমন প্রমাণিক, সিরাজুল ইসলামসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, আমাদের শত শত বিঘা কলার বাগান নদীতে ধসে যাচ্ছে। আমরা কোথায় যাবো? সবাই তো জানে কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। আমরা সেখানে গিয়ে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের জমি, আমাদেরই বাগান এই বালু কাটার জন্য নদীতে চলে যাচ্ছে। আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।

অভিযোগ উঠেছে বিশাল এই বালু সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির প্রভাবশালী এক কেন্দ্রীয় নেতার এক আত্মীয় ও জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতাও জড়িত। এছাড়া কুষ্টিয়ার একটি সিন্ডিকেটও এর সঙ্গে জড়িত। আর এর মূল নেতৃত্বে দেন দোগাছী ইউনিয়নের বিএনপিপন্থি সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী।

তবে সাবেক চেয়ারম্যান হজরত আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি পাবনার মধ্যে কাটা হচ্ছে না, কুষ্টিয়ার হরিপুর এলাকায় হচ্ছে। আমিও গিয়ে দেখেছিলাম। কৃষকরা ভুলভাবে আমার নাম বলছেন।’

এ বিষয়ে লক্ষীকুণ্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কবে থেকে কারা বালু উত্তোলন করছেন আমি কিছুই জানি না। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। এর বেশি কিছু জানি না। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি না। জানলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। এখন যেহেতু জানলাম আমরা অভিযান চালাবো। অবৈধ বালু মহলের ব্যাপারে আমাদের ডিসি স্যারের কঠোর নির্দেশনা আছে।’

রাকিব হাসনাত/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *