শেষের পথে ভোট, গণনা শুরু, এগিয়ে ট্রাম্প

শেষের পথে ভোট, গণনা শুরু, এগিয়ে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষের দিকে চলে এসেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সব রাজ্যে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। সবার প্রথমে ক্যান্টাকি ও ইন্ডিয়া রাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলোর দরজা বন্ধ হয়। আর এখান থেকেই আসা শুরু করে ভোটের ফলাফল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষের দিকে চলে এসেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় সব রাজ্যে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। সবার প্রথমে ক্যান্টাকি ও ইন্ডিয়া রাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলোর দরজা বন্ধ হয়। আর এখান থেকেই আসা শুরু করে ভোটের ফলাফল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের ভোট গণনা টেবিলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণনা করা ভোটের ৭০ হাজার ১১৪ ভোট পেয়েছেন কমালা হ্যারিস (৩৬ শতাংশ)। অপরদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১১৪ ভোট (৬৩ শতাংশ)। প্রতি মিনিটে মিনিটে ভোট গণনার সংখ্যা বেড়ে চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অবশ্য যিনি বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। এর বদলে ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছে ইলেক্টোরাল কলেজে এগিয়ে থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ট্রাম্প।

‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কী?

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যখন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন, বেশিরভাগই হয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস অথবা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।

তবে এদের দুজনের মধ্যে কে জয়ী হবেন, সেটা ভোটারদের দেওয়া ভোটে সরাসরি নির্ধারিত হবে না। জাতীয় স্তরের নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন।

ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

সেই প্রার্থীর রানিং মেট হয়ে যাবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।

কীভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ?

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার হাতে সর্বাধিক ৫৪টি এবং ভায়োমিং, আলাস্কা এবং নর্থ ডাকোটা (এবং ওয়াশিংটন ডিসি)-র মতো যেসব অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, তাদের হাতে অন্তত তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।

সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০.১% পেয়েছেন, তাকে ওই অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলোই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও জয়ী প্রার্থী অতগুলো ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন।

দেশব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও কি কেউ পরাজিত হতে পারে?

হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। একজন প্রার্থী সারা দেশে হয়ত কম ভোট পেয়েছেন, কিন্তু বেশ কতগুলো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়ে একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের থেকে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও মিসেস ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০০ সালে আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন, যদিও সাধারণ ভোটে তার জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি।

ওই দুজনের আগে আর মাত্র তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলো উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা। একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *