যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
দেশটির পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ ভাষণটি দিয়েছেন কমালা হ্যারিস। সেখানে তিনি তরুণ ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন।
জনসম্মুখে দেওয়া এই ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, “এই প্রচারণা আমেরিকার সকল কোণের সব শ্রেণির মানুষকে এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য বড়— আমরা শক্তি, আশাবাদ ও আনন্দ নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলাম। ঠিক সেভাবেই শেষ করছি এখন।”
তিনি তরুণ এবং নতুন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদেরকে আমি বিশেষভাবে বলছি, আমি তোমাদের শক্তি দেখি এবং আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্বিত।”
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এই ভাইস প্রেসিডেন্ট জানেন, এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে হলে তাকে তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য ভোট দিতে চলেছেন। আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১১:০০) ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগে স্থানীয় সময় সোমবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এদিন গভীর রাতে মিশিগানে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা তার নির্বাচনী প্রচারণার এই সর্বশেষ ভাষণ শোনার জন্য সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
ট্রাম্প মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসের মঞ্চে তার শেষ নির্বাচনী প্রচারণার সমাপনী বক্তৃতায় বলেছেন, আমাদের এমনভাবে বেঁচে থাকতে হবে না। ট্রাম্প তার বক্তৃতায় উপস্থিত জনতাকে প্রশ্ন করেন, তারা এখন চার বছর আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন কিনা। তার এই প্রশ্নের বিপরীতে র্যালিতে উপস্থিত জনতা উচ্চস্বরে না-সূচক জবাব দেন।
এরপর ট্রম্প বলেন বলেন, “আজ রাতে আপনাদের ও সকল আমেরিকানদের প্রতি আমার খুব সহজ বার্তা, আমাদের এমনভাবে বেঁচে থাকতে হবে না।”
ভাষণে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পার্টির কমালা হ্যারিসকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি কমলা হ্যারিসকে “একজন উগ্র বামপন্থি পাগল” বলে আখ্যায়িত করেন।
টিএম