দুই গ্রুপের মারামারিতে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে নিহত

দুই গ্রুপের মারামারিতে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে নিহত

খুলনায় দুই গ্রুপের মারামারিতে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাগনে শেখ আরিফুজ্জামান রূপম (৩৪) নিহত হয়েছেন। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে।

খুলনায় দুই গ্রুপের মারামারিতে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাগনে শেখ আরিফুজ্জামান রূপম (৩৪) নিহত হয়েছেন। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে।

যৌথবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে দৌলতপুরের আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে মাদকবিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। অভিযান থেকে ফেরার পথে সড়কে মারামারির ঘটনা দেখে সেখানে যান তারা। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে লোকজন রূপমকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে যৌথবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

পুলিশ জানায়, রূপমের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরের একটি মাদক মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দৌলতপুর থেকে ১৮পিস ইয়াবাসহ রূপমকে আটক করেছিল। এর আগে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী গ্রাম থেকে রূপমসহ ২ জনকে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছিল র‌্যাব। নিহত রূপম আঞ্জুমান সড়কের শেখ কামাল উদ্দিন বাচ্চুর ছেলে।  

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, যৌথবাহিনীসহ বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়। এটি যৌথবাহিনী জানতে পারে। তারা সেখানে গিয়ে দেখে একজন আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জানতে পারে তার নাম রুপম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।  

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *