রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বড়খোলা গড়াই নদীর চরে রাতের আঁধারে মিতিন বিশ্বাস নামের এক কৃষকের ৫০ শতক জমির ৪০০ থেকে ৫০০ কলা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বড়খোলা গড়াই নদীর চরে রাতের আঁধারে মিতিন বিশ্বাস নামের এক কৃষকের ৫০ শতক জমির ৪০০ থেকে ৫০০ কলা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে ঘটনা জানতে পারেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।
ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় কলা গাছগুলো কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের এলাকায় দুইটি সমাজ। এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি সবাই আছে দুই সমাজে।তবে এতোদিন আমাদের এখানে কোন সমস্যা ছিলো না। গত রাতে হঠাৎ চরের ৪ থেকে ৫শ কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।একটা গাছা কাটা আর মানুষ হত্যা করা সমান অপরাধ।
স্থানীয় আরও এক কৃষক বলেন, বড়খোলা এলাকার আবুল জোয়াদ্দার, জহির জোয়াদ্দার,কলিমউদ্দিন জোয়াদ্দার ও জিল্লুর নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে কলাগাছ কাটা হয়েছে। কী কারণে কাটা হয়েছে আমরা জানি না।সকালে গিয়ে দেখি ৪ থেকে ৫ শ কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
কসবামাজাইল ইউনিয়নের শান্তিখোলা গ্রামের মৃত জজ আলী বিশ্বাসের ছেলে মিতিন বিশ্বাস বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে চরের ১ একর জমিতে কলাগাছ রোপণ করে আসছে তিনি। আজ শুক্রবার আমি চরে গিয়ে দেখি আমার সব কলাগাছ মাটিতে পড়ে আছে। কে বা কারা এটা করেছে আমি জানি না। আমার সাথে কারোর শত্রুতাও নেই।
পাংশা মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, এখনও কৃষকের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএ